সংক্ষিপ্ত

শনিবার হলদিয়ায় সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

ভরা সভায় প্রধানমন্ত্রীর দিলীপ ঘোষের প্রশংস

যা নিয়ে জোর জল্পনা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে

মোদীর প্রশংসার পিছনে লুকিয়ে কোন রহস্য

 

শনিবার ফের বঙ্গে এসেছিলেন, বিজেপির সবচেয়ে বড় ভোট প্রচারক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বাভাবিকভাবেই ঢল নেমেছিল জনতার। আর ভরা সভায় হঠাৎ করেই প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা। নরেন্দ্র মোদীকে সাধারণত বিজেপি নেতাদের আরও কাজ করার জন্য উৎসাহিত করতে দেখা যায়। কিন্তু, তাঁর মুখ থেকে প্রশংসা, তাও আবার জনসমক্ষে, খুব কম লোকের ভাগ্যেই তা জুটেছে। তাই, রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে এখন জোর জল্পনা, মোদীর প্রশংসার পিছনে লুকিয়ে কোন রহস্য?

এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, তিনি গর্বিত যে বাংলায় তাঁর দলের দায়িত্ব রয়েছে দিলীপ ঘোষের মতো এক ব্যক্তির হাতে। বাংলার বিকাশের জন্য তিনি শান্তিতে ঘুমাতেও পারেননি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুমকিতে পিছিয়েও আসেননি। তাঁর উপর বহুবার হামলা হয়েছে, হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে, তাও তিনি লক্ষ্য থেকে সরে আসেননি। তাই আজ বাংলায় বিজেপি সরকারে আসতে চলেছে।

প্রধানমন্ত্রীর এই প্রশংসার পর, সবার প্রথমেই যে প্রশ্নটি উঠছে, তা হল, বাংলায় বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নামটাই কি ইঙ্গিতে জানিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী? দিলীপ ঘোষই কি সেই মুখ? বাংলায় বিজেপির পক্ষ থেকে যত সমীক্ষা হয়েছে, তার প্রত্য়েকটিতেই দিলীপ ঘোষই কিন্তু, রাজ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিজেপি নেতা হিসাবে উঠে এসেছেন।

আরও পড়ুন - ঘুষের বিনিময়ে প্রার্থীপদ, ব্রাত্য ওবিসি নেতা - কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রায়গঞ্জে

আরও পড়ুন - মমতার প্রকল্প কি সত্যিই মোদীর প্রকল্পের থেকে ভালো, না কি বঞ্চিত বাংলার মানুষ, দেখুন

আরও পড়ুন - তৃণমূলের নির্বাচনী ইশতেহার - প্রশ্নের মুখে 'দিদির অঙ্গীকার', উত্তর খুঁজছে বাংলার জনতা

দিলীপ ঘোষ স্বয়ং অবশ্য তা মনে করছেন না। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, তিনি ভালো কাজ করেছেন, তাই কেন্দ্রীয় নেতারা তাঁর প্রশংসা করছেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়া তাঁর লক্ষ্য নয়। বাংলায় বিজেপিকে ২০০-র বেশি আসনে জয়ী করাই তাঁর লক্ষ্য।

অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি, একে এখন দলে দিলীপের থেকে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বিশ্বাসদের মতো তৃণমূল ত্যাগী নেতারাই। তাই, বিজেপির রাজ্য সভাপতিরও  মনে ক্ষোভ জমেছে, তা কাটাতেই খানিক প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী। তাছাড়া বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না দেওয়াতেও দিলীপ ঘোষের অভিমান হয়েছে, বলে দাবি করেছে ঘাসফুল শিবির।