সংক্ষিপ্ত
- চাকরির দাবিতে জমায়েত পার্থ-র বাড়ির সামনে পার্থীরা
- শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তবেই বাড়ি ফিরবে তাঁরা
- বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়ন শিক্ষামন্ত্রী বাড়ির সামনে
- মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ঘুরেও চাকরির কোনও সুরাহা হচ্ছে না
চাকরির দাবিতে পার্থ-র বাড়ির সামনে এসএসসি পার্থীদের বিক্ষোভ। দীর্ঘদিনের দাবিতে জমায়েত এতটাই বড়ো হয়েছে, তাই বাধ্য় হয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়ন (Education Minister) শিক্ষামন্ত্রী বাড়ির সামনে। এই মুহূর্তে তারা অপেক্ষায়, দেখা করে তবেই ফিরবে বাড়ি তাঁরা।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বাড়িতে ওয়ার্ক এডুকেশন- ফিজিক্যাল এডুকেশনের প্রার্থীরা চাকরির দাবিতে জমায়েত হয়েছে। বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়ন শিক্ষামন্ত্রী বাড়ির সামনে। প্রার্থীদের বক্তব্য, দীর্ঘ দুই বছর ধরে তারা কখনও মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banrjee) কাছে, কখনও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে চাকরির জন্য। কিন্তু চাকরির কোনও রকম সুরাহা হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার ১১ টার সময় শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষার পার্থীরা এসে হাজির। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তারা দেখা করে তারপর ফেরত যাবে। যদিও শিক্ষামন্ত্রী বাড়িতে নেই। এরপর তাঁরা অপেক্ষা করবে বলে জানায়।
আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গে 'পদ্ম' ফুটলে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী, মুখ খুললেন কৈলাস
অপরদিকে যেমন স্থায়ীকরণ এবং বেতন পরিকাঠামোর দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banrjee) সম্প্রতি রক্তে লেখা চিঠি দিয়েছেন পার্শ্বশিক্ষকরা। ঐক্য মঞ্চে উপস্থিত ১২ জন এই চিঠি দিয়েছেন। পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ জানিয়েছেন, ২০০৪ এবং ২০০৭ সালের মেরিট লিস্টের মাধ্যমে শিক্ষা দফতরের আন্ডারে আমাদের নিয়োগ করা হয়। অথচ ১০ বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও রাজ্য সরকারের বিন্দুমাত্র কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। প্রতিবারই মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় পার্শ্ব শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তারপরে আর কোনও কিছু করা হয় না। এদিকে একের পর এক পার্শ্ব শিক্ষক এই যন্ত্রনা সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যা করছেন। উল্লেখ্য চলতি মাসেই আত্মঘাতী হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের পার্শ্বশিক্ষক বছর পঞ্চাশের দুলাল চন্দ্র দে। শনিবার পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে শরীরের রক্ত বার করে রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের উদ্দেশ্য়ে লেখেন। চিঠিতে লেখা,' দিদি আমাদের বাঁচান। এই আমাদের কাতর অনুরোধ।