সংক্ষিপ্ত

বুধবারই বিধায়কের পদ ছেড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী

আর তার কয়েক ঘন্টা পরই করলেন রুদ্ধদ্বার গোপন বৈঠক

বৈঠক হল পশ্চিম বর্ধমানে এক বিশিষ্ট তৃণমূল সাংসদের বাড়িতে

তাহলে কি বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতার দলে আরও বড় ভাঙন

 

গত কয়েক দিনের জল্পনা সত্যি করে বুধবারই নন্দীগ্রামের বিধায়কের পদ ছেড়েছেন তৃণমূলের ডাকসাইটে নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তার কয়েক ঘন্টা পরই পশ্চিম বর্ধমানে এক বিশিষ্ট সাংসদের বাড়িতে এক রুদ্ধদ্বার গোপন বৈঠক করেছেন শুভেন্দু, এমনটাই জানা যাচ্ছে। ঘটনাক্রম যেদিকে এগোচ্ছে তাতে আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল থেকে শুধু শুভেন্দু নয়, আরও বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নেতা বেরিয়ে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন - মমতা-র বিকল্প মুখ হতে পারেন শুভেন্দু, বিজেপিতে যাওয়া ছাড়া আর গতি নেই

আরও পড়ুন - বাবা জেলবন্দি, পালিয়েছে মা - ফুটপাতে নেমে আসা কিশোরকে ছেড়ে যায়নি শুধু পোষ্য কুকুর

আরও পড়ুন - কৃষক আন্দোলনে আত্মঘাতি জনপ্রিয় শিখ সন্ত, সুইসাইড নোটে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়েছে, এদিন সন্ধ্যায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসায় পূর্ব বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুনীল মন্ডলের বাসভবনে এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে। সেখানে শুভেন্দু অধিকারী, সুনীল মণ্ডল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আসানসোল পুরসভার প্রধান জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এছাড়াও বীরভূম ও বর্ধমানের আরও কয়েকজন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাও এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন, বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত সুনীল মণ্ডল এবং জিতেন্দ্র তিওয়ারি সম্প্রতি প্রকাশ্যেই তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করেছেন এবং শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি তাঁদের সমর্থন জানিয়েছিলেন।

সাংসদ সুনীল মণ্ডলের নামে এইরকম ব্যানারও দেখা গিয়েছে

বর্ধমান পূর্ব লোকসভার দু'বারের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মন্ডল এদিন সকালে বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারী একজন ভাল নেতা এবং তাঁর শক্তিশালী জন-ভিত্তি রয়েছে। তিনি টিএমসিকে ছেড়ে দিলে দলে অবশ্যই বিরূপ প্রভাব পড়বে। পার্টিতে একটা চোরা স্রোত তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ফরোয়ার্ড ব্লক থেকে ঘাসফুলে আসা এই নেতা। তিনি আরও বলেছেন, তৃণমূলে প্রচুর সমস্যা রয়েছে এবং দলীয় নেতৃত্ব সেগুলির সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নেতৃত্ব মুখে বলছে পুরনোদের এবং নতুনদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু করছে না।

জীতেন্দ্র তিওয়ারি

অন্যদিকে, বুধবার বিকেলে জীতেন্দ্র তিওয়ারি, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরই রাজ্যে শুভেন্দু অধিকারীকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জননেতা হিসাবে শংসা দিয়েছিলেন। তবে শুধু সুনীল মণ্ডল জীতেন্দ্র তিওয়ারিরাই নন, রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকেই ধীরে ধীরে তৃণমূলের অনেক নেতাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে শুভেন্দুর দিকে সমর্থনের সহাত বাড়িয়ে দিতে দেখা যাচ্ছে। 'শুভেন্দুর প্রতি দল অবিচার করেছে' বলে মন্তব্য করেলেন হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ বাণী সিংহ রায়। 'দাদার অনুগামী' পোস্টারেও মুখ বাড়ছে তৃণমূল নেতাদের।