সংক্ষিপ্ত
- নন্দীগ্রাম আসন নিয়ে গোটা দেশের নজর ছিল
- গণনার শুরু থেকেই এই আসনে এগিয়ে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী
- তবে কিছু কিছু সময় মমতাও লিড পাচ্ছিলেন
- নাটকীয় গণনা পর্বের পর অবশেষে জেতেন শুভেন্দু
নন্দীগ্রামে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়ে তিনি গোটা দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রথম পাতায় এসেছেন। সারা বাংলায় জিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গেলেন সেই নন্দীগ্রামে, তাঁর পুরনো সৈনিকের কাছে। একেবারে টানটান নাটকীয় লড়াইয়ের পর নন্দীগ্রামে জেতেন শুভেন্দু অধিকারী। বারবার বলে আসছিলন নন্দীগ্রামে তিনি জিতবেনই। বড় মার্জিনেই জিতবেন শুভেন্দুর সে কথা না মিললেও, গোটা রাজ্যে বিজেপি-র হতাশার মাঝেও তিনি বিপর্যয়ের পাঁকে পদ্মফুল হয়ে ফুটলেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। নাটকীয় জয়ের পর শুভেন্দু টুইটারে লেখেন, নন্দীগ্রামের মানুষ আমার ওপর ভরসা রাখায়, সমর্থন করায়, ভালবাসা দেওয়ায় আমি ধন্য়। আমায় নন্দীগ্রামের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেওয়ায়, এবং বিধায়ক হিসেবে বছে নেওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আমি আমার কাজ করে দেবো, আগামী দিনে নন্দীগ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করার শপথ নিলাম।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে বেশি, কম মার্জিন জিতলেন কারা
নন্দীগ্রামে ভোটগণনা নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এক সংবাদসংস্থা তাঁর জয়ের খবর দিতেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়, নন্দীগ্রামে জিতেছেন মমতাই। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে নির্বাচন কমিশন জানায়, নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে জিতেছেন শুভেন্দু অধিকারীই। পরে তৃণমূল নন্দীগ্রামে পুর্নগণনার দাবি করে। কিন্তু কমিশন জানিয়ে দেয় তা হচ্ছে না। নন্দীগ্রামে ফল নিয়ে আদালতে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: দেশে মোদী বিরোধী প্রধান মুখ হলেন মমতা, এক পায়ে বাংলা জেতার পর এবার কি দুই পায়ে দিল্লি
অনেকেই বলেছিলেন, মমতাকে হারাতে পারলে এবং বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে শুভেন্দুই হবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বিজেপির যা ফল তাতে বিরোধী দল হয়েই থাকতে হবে। এবার শুভেন্দু ভূমিকা কী হবে সেটা দেখার। নিজে জিতলেও অধিকারী গড় রক্ষা করা মোটেও সহজ কাজ হবে না। অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে লড়েও পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের ফল মন্দ হয়নি। জেলার বাইরে শুভেন্দু একেবারেই ছাপ ফেলতে পারেনি। তবে মমতাকে হারানোয় বিজেপি নেতৃত্বের কাছে শুভেন্দুর গুরুত্ব অনেক বাড়বে সেটা স্বাভাবিক। এখন দেখার শুভেন্দুকে কী দায়িত্ব দেয় বিজেপি।