সংক্ষিপ্ত
- আচমকাই ক্ষোভ প্রকাশ কুণালের
- নিজেকে অত্যাচারিত বললেন তিনি
- 'এই আচরণ মমতাদির প্রাপ্য ছিল'
- কী কারণে এমন বললেন কুণাল
' তৃণমূল পরিবারে যদি একজনও অপমানিত, লাঞ্ছিত, অত্যাচারিত থাকে, তাহলে সেটা আমি', ভোটের একেবারে দোরগড়ায় দাঁড়িয়ে আচমকাই ক্ষোভ প্রকাশ কুণালের। কিন্তু তারপরেও প্রশ্নটা থেকে যাচ্ছে, কেন এমনটা বললেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন, সাগর থেকে শাহ-র রথযাত্রার সূচনা, পাল্লা দিয়ে ময়দানে 'দিদির দূত', 'ভূত' বলে কটাক্ষ সুজনের
'অপমানিত, লাঞ্ছিত, অত্যাচারিত', নিজেকে কী কারণে এমনটা বললেন কুণাল
এদিন ফেসবুক পোস্টে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ' তৃণমূল পরিবারে যদি একজনও অপমানিত, লাঞ্ছিত, অত্যাচারিত থাকে, তাহলে সেটা আমি। বিনা দোষে আমাকে বলি করা হয়েছে। যারা ষড়যন্ত্রী, তার ৯০ শতাংশ এখন বিজেপিতে। কারা সব ক্ষমতা ভোগের পর ক্ষোভের কথা বলছে বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এর পর বলেন, আমার থেকে বেশি ক্ষোভ কারুর থাকতে পারে না। সিবিআই, ইডি থেকে বাঁচতে কেউ কেউ গেছে। আর কয়েকজন যার জন্যে যাচ্ছে, শুনলে চোখ কপালে উঠছে। যাঁরা যাচ্ছেন না, তাঁরাই বলে দিচ্ছেন প্রস্তাবের আকার আকৃতি।' তিনি আরও বলেন, 'আমার ক্ষোভ, অভিমান আছে। প্রতিবাদ আছে। সেটা আমি দলের এবং মমতাদির সঙ্গে বুঝে নেব ভোটের পর, যখন দিদি আবার তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আসবেন। তার আগে পর্যন্ত আমি দলের সৈনিক হিসেবে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে কর্তব্য পালন করব। এরপর তিনি স্পষ্ট বলেছেন, ব্যক্তিগত সম্পর্ক রাখলেও আমি স্পষ্ট বলেছিলাম তৃণমূল ছাড়ব না।'
আরও পড়ুন, ভ্যালেন্টাইন ডে-তে চালকদেরকে গোলাপ উপহার, নিজেকে ভালবাসতে শেখাল ট্রাফিক পুলিশ
'এই আচরণ মমতাদির প্রাপ্য ছিল', কেন বললেন কুণাল
স্মৃতির শহরে ফিরে কুণাল ঘোষ বলেছেন, রাজনীতির শুরু থেকে বাম জমানার পরিবর্তন চেয়েছি। ২০১৬ সালে বন্দিদশাতেও প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়েছি একা তৃণমূল জিতবে। ২০২১-এও একই কথা বলছি। মমতাদি আর নেতৃত্ব অকারণে কিছু অপাত্রে দান করেছেন। লোক চিনতে ভুল করেছেন। বিশ্বাস করেছেন। এদের কাছ থেকে এই আচরণ মমতাদির প্রাপ্য ছিল। এখনও কিছু বাকি আছে। এরপরেই তিনি ফের ঘাসফুল শিবিরের জয়ের ঘোষণায় বলে ওঠেন বাংলার স্বার্থে তৃণমূলের আবার জেতা উচিত। পচা গলা অকৃতজ্ঞ সুবিধাবাদী ক্ষমতালোভী গিরগিটিরা বিপক্ষ শিবিরে। সঙ্গে পশ্চিমি অপসংস্কৃতির আগ্রাসন। মানুষ মমতাদির পাশে আছেন এবং থাকবেন। ভুল সংশোধন করে যে তৃণমূল উঠে আসবে, তা আরও উন্নততর মানুষের মহাজোট।'
দলে থেকে ভূল ধরানোর সাহস দেখালেন প্রথম কুণাল ঘোষই
প্রসঙ্গত, ইডি,সিবিআই নিয়ে একের পর এক বিতর্ক উঠে এসেছে। বারবার শিরোনামে এসেছে যে তৃণমূল নেতা মন্ত্রীরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের ভয়েই দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন। এই তালিকায় শুভেন্দু, শোভনের বিরুদ্ধেও একাধিকবার তোপ দেগেছেন স্বয়ং নিজেই কুণাল ঘোষ। ভোটের মুখে কেউ এই মুহূর্তে বেসুরো বলা মানেই দল ছাড়ার ইঙ্গিত। তবে এই প্রথম দল ছাড়বো না, থাকব বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞভাবে নিজের দলের বিরুদ্ধে কিংবা ভূল ত্রুটি নিয়ে কথা বলার সাহস দেখালেন প্রথম কুণাল ঘোষই। যদিও গতকালের কুণালের ফেসবুক পোস্টের পর, তৃণমূলের কেউই কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও অবধি জানাননি।