সংক্ষিপ্ত
- মমতাকে নন্দীগ্রামে জেতানোর জন্য সমস্ত মৌলবাদী শক্তি একত্রিত হয়েছে
- শুভেন্দু অধিকারীকে হত্যা করার চক্রান্ত চলছে
- জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস একটি আসনও পাবে না
- বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কণিষ্ক পণ্ডার
তাপস দাস- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে জেতানোর জন্য সমস্ত মৌলবাদী শক্তি একত্রিত হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীকে হত্যা করার চক্রান্ত চলছে। বিস্ফোরক এই সব অভিযোগ করলেন পূর্ব মেদিনীপুর বিজেপির নেতা, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কণিষ্ক পণ্ডা। তিনি আত্মবিশ্বাসী, জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস একটি আসনও পাবে না। জেলা বলতে শুধু পূর্ব মেদিনীপুরই বোঝেন না কণিষ্করা। তাঁর বক্তব্য, প্রশাসনিক কারণে তিন ভাগ করা হয়েছে মেদিনীপুরকে, কিন্তু তাঁরা যাত্রা করা-পান্তা খাওয়া মেদিনীপুরের ছেলে বলে নিজেদের পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করেন। এই অবিভক্ত মেদিনীপুরের হিসেবে, অর্থাৎ পূর্ব ও পশ্চিম এই দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম, তিন জেলায় একটি আসনও পাবে না তৃণমূল কংগ্রেস, দাবি করেছেন বর্তমানে বিজেপির এই নেতা।
আরও পড়ুন- কেন্দ্রের টাকা আটকে গেছে 'ভাইপো ইউন্ডোতে', কাঁথিতে বাংলায় পরিবর্তনের স্লোগান মোদীর
আরও পড়ুন- 'নারী শক্তিকে এগিয়ে নিয়ে চলাই BJP-র লক্ষ্য', মাতঙ্গিনীকে প্রণাম জানিয়ে বার্তা মোদীর
তাঁর আরও দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস যে খেলা হবে বলে শ্লোগান তুলেছে, সেই খেলা দেখাবে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরাই, আর ভোটে জিতবে বিজেপি। শিশির অধিকারীকে যেভাবে অপমান-অসম্মান করা হয়েছে, তার প্রতিফল পাবে তৃণমূল কংগ্রেস- এমনটাই দাবি কণিষ্কর। তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেবল শিশির অধিকারীর প্রতি অসৌজন্য প্রদর্শন করেছেন, এমন নয়- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেনই না যে সৌজন্য কী জিনিস। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বা জ্যোতি বসুদের প্রতি যে সৌজন্য তিনি দেখিয়েছিলেন, তার পিছনে ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থ ছিল বলে দাবি কণিষ্কর। সীতারাম কেশরী যখন এআইসিসি সভাপতি, তখন কলকাতায় এআইসিসি অধিবেশন হচ্ছিল। সেই সময়ে সভার অনুমতি পাবার জন্যই মমতার সৌজন্য প্রদর্শন বলে জানিয়েছেন কণিষ্ক।
আরও পড়ুন- আদিবাসী ভোট ঠিক করবে বিনপুরে তৃণমূলের ভাগ্য, বিজেপিও পিছিয়ে নেই
"
তাঁর অভিযোগ, অভিষেক ব্যানার্জিকে তোলার জন্য নিজের টালির বাড়ি দেখিয়ে, হাওয়াই চটি পরে মানুষকে শুষে খেয়েছেন মমতা। জেলার তৃণমূল নেতা অখিল গিরি মেদিনীপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক লঞ্চ করিয়েছিলেন, কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসকে জেতানোর ব্যাপারে তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল না বলে তোপ দেগে কণিষ্কের দাবি, জয়ের পিছনে কারিগর ছিল অধিকারী পরিবার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও বুঝে গিয়েছেন, তিনি এবার আর ক্ষমতায় আসবেন না, দাবি কণিষ্কর। সে কারণেই ৫০০ কোটি টাকা ধার করে তিনি প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে এসেছেন। এই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠের দাবি, সিপিএম-কংগ্রেস-তৃণমূল যে সাম্প্রদায়িক খেলা খেলছে এবং বাংলাকে মুসলিম অধ্যুষিত করার চক্রান্ত করছে, তার বিরুদ্ধে তাঁদের জেহাদ জারি থাকবে।
"