সংক্ষিপ্ত
- জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ১১টা বছর
- এখনও পর্যন্ত প্রসেনজিৎ আটার মৃতদেহ পাননি তাঁর পরিবার
- পাননি ডেথ সার্টিফিকেটও
- চরম আর্থিক সমস্যার মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁদের
জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ১১টা বছর। তবে এখনও সেই স্মৃতি বড়ই তাজা তাঁদের মনে। এদিকে ১১ বছর কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত প্রসেনজিৎ আটার মৃতদেহের কোনও হদিশ পাননি তাঁর পরিবার। পাননি ডেথ সার্টিফিকেটও। ফলে চরম আর্থিক সমস্যার মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁদের। আর এরই মধ্যে সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনায় নিজেকে মৃত দেখিয়ে সরকারি চাকরি হাতিয়ে নিয়েছে এক ব্যক্তি। পাশাপাশি সরকারি ক্ষতিপূরণও তিনি হাতিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অমৃতাভ চৌধুরী নামে ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই।
২০১০ সালের ২৮ মে। রাত দেড়টার সময় জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাতে প্রায় ১৫০ জনের মৃত্যু হয়। সেই ট্রেনের সওয়ারি ছিলেন প্রসেনজিৎ আটা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, প্রসেনজিৎ আটার কোনও খোঁজ পাননি। মৃতদেহের ভিড়ে বাবাকে হন্যে হয়ে খুঁজেছিলেন পৌলমী। পাননি। ১১ বছর পরও বাবার কোনও খোঁজ পাননি তিনি। এরপর একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু, সেখান থেকেও কোনও সাহায্য মেলেনি। আর এখন অমৃতাভর ঘটনা দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে যাচ্ছে আটা পরিবার।
আরও পড়ুন- 'আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে', জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডে নিজাম প্যালেসে ধৃত অমৃতাভ
একজন ব্যক্তি মৃত না হয়েও যে সুযোগ সুবিধাগুলি পেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এদিকে প্রসেনজিৎ আটার পরিবারের দাবি, জ্ঞানেশ্বরী ঘটনার পর রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তাঁরা সামান্য পরিমাণ আর্থিক সাহায্য পেয়েছিলেন। তবে যদি প্রসেনজিৎ আটার দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া না হয় এমনকী ডেথ সার্টিফিকেটও দেওয়া না হয় তাহলে কীসের ভিত্তিতে সেই সাহায্য দেওয়া হল পরিবারকে।
আরও পড়ুন- মালদা খুন কান্ডে কি জড়িত অনুপ্রবেশকারী চিনা নাগরিক, গভীর রহস্যের ইঙ্গিত পাচ্ছে পুলিশ
প্রসেনজিৎবাবুর স্ত্রী জুথিকা আটার দাবি, অবিলম্বে তাঁদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হোক। দেওয়া হোক স্বামীর ডেথ সার্টিফিকেট। ডেট সার্টিফিকেট দাখিল না করতে পারায় এতদিন অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন। যার কারণে চরম আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে পরিবারে।