সংক্ষিপ্ত
আইএসএফ ছেড়ে এখন প্রায়ই তৃণমূলের ফিরছেন অনেক কর্মী। এমতাবস্থায় এবার বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম ও আইএসএফ প্রায় দেড় হাজারের বেশি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করলেন বসিরহাটে।
বিধানসভা ভোটের পর সংযুক্ত মোর্চার(Sanjukta morcha) পাশাপাশি বড়সড় ভাঙন দেখা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরেও। রাজ্যের একাধিক জেলায় বহু মানুষ ফের যোগদান করেছেন তৃণমূলে(Trinamool)। এমনকী সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র গড় ভাঙড়েও(Bangarh) বুকেও দেখা গিয়েছে বড়সড় ভাঙনের ছবি। আইএসএফ(ISF) ছেড়ে এখন প্রায়ই তৃণমূলের ফিরছেন অনেক কর্মী। এমতাবস্থায় এবার বিজেপি(BJP), কংগ্রেস(congress), সিপিএম(cpim) ও আইএসএফ প্রায় দেড় হাজারের বেশি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করলেন বসিরহাটে।
এদিন বিভিন্ন বিরোধী শিবির থেকে বসিরহাট মহাকুমার বাদুড়িয়া বিধানসভার অন্তর্গত রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বুথ থেকে প্রায় দেড় হাজার জন মানুষ তৃণমূলে যোগদান করলেন। রবিবার সন্ধ্যায় রামচন্দ্রপুরে প্রকাশ্য জনসভায় তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে নেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাধিপতি তথা স্বরূপনগরে বিধায়ক বিনা মন্ডল। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাদুড়িয়ার বিধায়ক কাজী আব্দুল রহিম ও তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি মহসিন মন্ডল সহ অন্যান্য নেতৃত্বও। তৃণমূলে ফেরা নিয়ে দলত্যাগী বিজেপি নেতা মন্টু রাম বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে গ্রামের উন্নয়ন করতে তৃণমূলে যোগদান করলাম।”
আরও পড়ুন-ত্রিপুরা ইস্যুতে কথা বলতে নারাজ অমিত শাহ, নর্থ ব্লকের সামনে বিক্ষোভে সামিল তৃণমূল
দলত্যাগী সিপিএম নেতা রবিউল কয়াল বলেন, “আমরা আব্বাস সিদ্দিকী অর্থাৎ ভাইজানের সমর্থক ছিলাম। সিপিএমও করতাম দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে, রাজ্যের মানুষ তাদের মুক্ত হস্তে সমর্থন করেছে। তাই তারা আবার পুনরায় ক্ষমতায় বসেছে। তাই উন্নয়নের শরিক হতে সকলে মিলে দল ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগদান করলাম”। এদিকে এই এলাকার তৃণমূল-কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি মহসিন মন্ডল বলেন, “বিরোধী দল থেকে আগাত সমস্ত বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস ও আইএসএফ কর্মীদের আমরা তৃণমূলে স্বাগত জানাচ্ছি। এরফলে ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাদুরিয়া বিধানসভায় সংগঠন আরও শক্তিশালী হল। আমরা বড় জয়ের আশায় রয়েছি।”
আরও পড়ুন-“সায়নী গ্রেফতার হলে মোদী নয় কেন”, ত্রিপুরায় পৌঁছেই কেন এমন বললেন অভিষেক
এদিকে বিধানসভা নির্বাচনের সময় পালাবদলের খানিক সম্ভাবনা দেখা গেলেও সবুজ ঝড়ে তা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে। প্রাপ্ত আসনের নিরিখে ১০০-র গণ্ডিও পার করতে পারেনি বিজেপি। অন্যদিকে সংযুক্ত মোর্চায় নেমে আসে ঘন অন্ধকার। সিপিএম পায় শূন্য, কোনোরকমে ভাঙড় জিতে মোর্চার মুখ রক্ষা করেন আইএসএফ নওশাদ সিদ্দিকী। কিন্তু বিরোধীদের এই ভরাডুবিই যেন শাপে বর হয় তৃণমূলের। তাই গত কয়েক মাসে যারা তৃণমূল বিমুখ হয়েছিলেন তাদের বড় অংশ এবার ফের ‘ঘরে’ ফেরায় স্বভাবতই খুশি তৃণমূল নেতারা।