সংক্ষিপ্ত

এসটিএফ সূত্রে খবর, জেএমবি বড় পান্ডা তাসমিনের নির্দেশেই ভারতে এসেছিল ধৃত তিন জঙ্গি। শাকিল নামের এক যুবক তাদের ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করে দিয়েছিল। 

হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত ঈশান ঘোষ রোডের একটি বাড়ি থেকে তিন জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের এসটিএফের জালে ধরা পড়েছে তারা। কলকাতা পুলিশের হাতে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।  

আরও পড়ুন- নাশকতার ছক কলকাতায়, এসটিএফের জালে জেএমবির ৩ জঙ্গি

এসটিএফ সূত্রে খবর, জেএমবি বড় পান্ডা তাসমিনের নির্দেশেই ভারতে এসেছিল ধৃত তিন জঙ্গি। শাকিল নামের এক যুবক তাদের ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করে দিয়েছিল। ধৃতদের আরেক সাগরেদ সেলিম মুন্সির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে এসটিএফের কর্তারা। ধৃত নাজিউর রহমান, রবিউল ইসলাম এবং শেখ সাবির ওরফে মিল্কি তিনজনকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়েছে। 

আরও পড়ুন- কোভিড নেগেটিভ বা ভ্য়াকসিন সার্টিফিকেট দেখালেই খুলবে দীঘার দরজা, নির্দেশ জেলা প্রশাসনের

তিন জঙ্গিকে গ্রেফতারের পর এদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়ে বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে এসটিএফ। তদন্তকারী সূত্রে খবর, জেএমবি-র অন্যতম শীর্ষ নেতা আল আমিনের সঙ্গে এদের যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের অনুমান এদের নির্দেশেই ভারতে এসেছিল ধৃত তিন জঙ্গি। তবে এই তিন জঙ্গির সঙ্গে থাকত সেলিম মুন্সি। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। ধৃতদের ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত ইশানগঞ্জ রোডে একটি বাড়িতে দুটো ঘর ভাড়া করে থাকত এই তিনজন। আদতে মিথ্যে কথা বলেই বাড়িভাড়া নিয়েছিল তারা। বাড়িওয়ালাকে জানিয়েছিল যে তাদের মধ্যে একজনের ফলের ব্যবসা রয়েছে। আর দু'জন ছাতা সারাইয়ের কাজ করে। তবে দীর্ঘদিন ওই এলাকায় থাকার পরও বাসিন্দারা কেউই তাদের আসল পরিচয় ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। তবে গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে, বিশেষ টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে জেএমবির এই তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে।

আরও পড়ুন- ভাড়াবৃদ্ধির দাবিতে কলকাতায় ট্যাক্সি ও অ্যাপ ক্যাব ধর্মঘট, এদিন মিলবে না কিছুই

সম্প্রতি এসটিএফের কাছে খবর এসেছিল, কলকাতায় ফের জেএমবি-র স্লিপার সেলের আনাগোনা বাড়ছে। তারপরই তৎপর হয় এসটিএফ। এরপরই ওই বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, কলকাতাকে কেন্দ্র করে হামলা চালানোর ছক কষেছিল তারা।