সংক্ষিপ্ত
- একই পরিবারের চারজনের দেহ উদ্ধার
- ম্যাজিস্ট্রেটের সামনেই চলেছে খোঁড়াখুড়ি
- ট্যাঙ্কি থেকে দেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে
- মহম্মদ আসিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে
একই পরিবারের চারজনের দেহ উদ্ধার। জলের ট্যাঙ্কি থেকে দেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। মালদার কালিয়াচক থানার পুরাতন ১৬মাইল এলাকার ঘটনা। খবর পেয়ে তদন্তে কালিয়াচক থানার পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান খুন করে দেহগুলি জলের ট্যাঙ্কিতে ফেলা হয়েছে। ঘটনা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য।
আরও পড়ুন, ৭ বছর পর সারদা মামলায় জামিন পেলেন দেবযানী মুখোপাধ্যায়, তবুও ঝুলেই রইল ভিন রাজ্যে ভাগ্য
অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে মালদার কালিয়াচকের ১৬মাইলের ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়েছে ঘটনাস্থলে। ঘটনাস্থলে আসছে ম্যাজিস্ট্রেট। মালদার কালিয়াচকে চারজনের খুনের ঘটনায় উদ্ধার একটি মৃতদেহ। পুলিশের অনুমান, একই জায়গায় আরও তিনটি মৃতদেহ রয়েছে। পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে চলছে খোঁড়াখুড়ি। পরে মালদার কালিয়াচকে খুনের ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারের উপস্থতিতে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন,খুনের ঘটনায় মহম্মদ আসিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার দাদাকেও সন্দেহের খাতায় রাখা হয়েছে। তার কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ওই পরিবারের চার সদস্যকে তাঁরা দেখতে পাচ্ছিলেন না। ওই যুবক সেই সময় বাড়িতেই ছিল। তাঁর কাছ থেকে অসংখ্যবার মা-বাবা-বোন এবং দিদা 'কেমন আছে, কী খবর'-খোঁজ নেন প্রতিবেশিরা। এদিকে কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে তখন কেউ বাইরে ঘুরতেও তেমন যাচ্ছেন না। তাহলে একই পরিবারের ৪ জন্য গেল কোথায়, প্রশ্ন উঠতে থাকে এলাকায়। এরপর শুক্রবার এক আত্মীয় ওই বাড়িতে আসেন। বাড়ির সকলের খোঁজ নেন। আর এরপরে ঘটে যায় ঘটনার মোড়। পরিবারের মা-বাবা-বোন-দিদার খবর নিতে গেলেই ফোঁস করে ওঠে আসিফ মোহাম্মদ। অভিযোগ, ঘটনা যাতে প্রকাশ্যে না আসে, ওই আত্মীয়কেও খুনের চেষ্টা করে যুবক। এরপরেই আর দেরি করেননি, পুলিশের কাছে খবর দেন ওই আত্মীয়। ঘটনাস্থলে পৌছয় পুলিশ। অভিযুক্ত যুবককে আটক করে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
আরও পড়ুন, হলদিয়া আসার পথে পর্তুগিজ জাহাজের ট্যাঙ্কে ফুটো, বঙ্গোপসাগরে তেল ছড়িয়ে বাড়ল উদ্বেগ
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছে , পরিবারের একমাত্র ছেলে আসিফ মোহাম্মদের বয়েস মাত্র ১৭ বছর। ও তো বাচ্চা। পড়াশোনাই করে। ওর সঙ্গে চলাফেরা কারওই ছিল না। খাওয়া-দাওয়া করত অনলাইনে অর্ডার করে। কোথা থেকে আসত ,কেউ জানে না। কাউকে বাড়ি ও ঢুকতে দিত না। আমরা দেখেছি বাড়ির চারিপাশে অসংখ্য সিসিটিভি লাগানো। চার-পাঁচটা ল্যাপটপ পাওয়া গিয়েছে বলেও জানতে পেরেছি। একা ওইটুকু ছেলে কীকরে বাড়িতে থাকছে এটা নিয়ে সন্দেহ হত। সন্দেহ করে কি করব, যাওয়ার উপায় ছিল না। গ্রামের লোকতো দেখতই। পুলিশ সূত্রে খবর, আসিফ স্বীকার করে জানিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সে তাঁর মা-বাবা-বোন এবং দিদাকে খুন করেছে। তবে কী কারণে এত ভয়াবহ নৃশংস ঘটনা ঘটাল পরিবারের একমাত্র ছেলে, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।