সংক্ষিপ্ত
- মাওবাদীদের সঙ্গে কোবরা বাহিনীর সংঘর্ষ
- ছত্তিশগড়ে শহিদ হলেন বাঙালি জওয়ান
- নিহতের বাড়ি পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে
- শোকের ছায়া পরিবারের
ছত্তিশগড়ে ফের মাওবাদীদের সঙ্গে কোরবা বাহিনীর সংঘর্ষ। এবার শহিদ হলেন বাংলার এক জওয়ান। শোকের ছায়া পুরুলিয়ায়। রাতেই নিহত জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ আনা হবে বাড়িতে। তেমনটাই জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার এস সিলভামুরুগান।
আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে যুবককে 'খুন', মৃতের দুই বন্ধুকে গণধোলাই স্থানীয়দের
শহিদ জওয়ানের নাম কানাই মাজি। বাড়ি, রঘুনাথপুরের লছিয়া গ্রামে। সিআরপিএফ-র ২০৮ নম্বর কোবরা বাহিনীর কমান্ডো ছিলেন কানাই। ছত্তিশগড়ে কর্মরত ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলায় হামলা চালায় মাওবাদীরা। স্থানীয় কিস্তারাম থানার পালোদি গ্রামে মাওবাদীদের সঙ্গে কোবর বাহিনী জওয়ানদের সংঘর্ষ শুরু হয়। গুলিবিদ্ধ হন কমান্ডো কানাই মাজির। ঘটনার পর হেলিকপ্টারে চাপিয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল রাইপুরে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মাঝপথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই বাঙালি জওয়ান।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনেই অসুস্থ, হাসপাতালে বসে পরীক্ষা দিল ছাত্রী
আরও পড়ুন: টালির ঘরে টিমটিমে আলো, ভাগ চাষির বিদ্যুতের বিল এক লক্ষ টাকা
বুধবার সকালে ছেলের মৃত্যুর খবর পান কোরবার বাহিনীর কমান্ডো কানাই মাজির পরিবারের লোকেরা। ঘটনায় আকস্মিকতা শোকের দিশেহারা হয়ে গিয়েছেন তাঁরা। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সিলভামুরুগান জানিয়েছেন, ছত্তিশগড়ের রাইপুর থেকে নিহত জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ নিয়ে রওনা হয়ে গিয়েছেন সিআরপিএফ আধিকারিকরা। বুধবার রাতেই রঘুনাথপুরে পৌঁছে যাবেন তাঁরা। ছেলের মৃতদেহ ফেরার অপেক্ষায় পরিবারের লোকেরা। এর আগে ছত্তিশগড়েরই বস্তার ডিভিশনে নারায়ণপুর জেলায় সহকর্মীদের গুলি করে আত্মহত্যা করেন এক বাঙালি জওয়ান। ঘটনায় প্রাণ হারান ৫ জন জওয়ান। তাঁদের মধ্যেও আবার দু'জন ছিলেন বাঙালি। আহত হন আরও দু'জন।