সংক্ষিপ্ত
- নাম গোলক মাহাতো, পেশায় পুলিশকর্মী
- নিজে ব্লাড ক্য়ানসারে আক্রান্ত
- গান বেঁধেছেন করোনা নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে
- সেই গান সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে
"করোনাকে ডরোনা ভাই, সাবধানে শুধু থাকা চাই", থানায় বসে হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান গাইলেন পুলিশকর্মী। আর সেই ভিডিয়ো মুহূর্তের মধ্য়ে ভাইরাল হয়ে গেল।
সম্প্রতি পুরুলিয়ার এক পুলিশকর্মীর গাওয়া একটি গান এইভাবেই ভাইরাল হয়েছে। যদিও তিনি কর্মসূত্রে বাঁকুড়ায় রয়েছেন এখন। করোনা নিয়ে সচেতন করতে ওই পুলিশকর্মী নিজের ইউনিফর্ম পরেই একটি গান গান। গানটি তিনি নিজেই লেখেন, তাতে নিজেই সুর দেন। গানের মূল বক্তব্য় হল-- করোনা নিয়ে অহেতুক ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে এর থাকে সাবধানে থাকতে হবে। ভিডিয়োটি সোশাল মিডিয়ায় ছাড়া হয়।
গামছা করবে করোনামুক্ত, পুরপ্রধানের আজব উপহার
মানুষ মানুষের জন্য, বিনি পয়সা মাাস্ক বিলি মনে করাল সে কথা
অন্নপ্রাশন থেকে আশপাশের মানুষ বড়, দৃষ্টান্ত স্থাপন রায়গঞ্জের দম্পতির
আতঙ্কে মানুষ ডাকছে আরও বড় সর্বনাশ, মন্বন্তরে না পড়তে হয়
জানা গিয়েছে পুরুলিয়ার ভাণ্ডার পুয়ারা এলাকায় থাকেন ওই পুলিশকর্মী। নাম গোলক মাহাতো। এর আগেও তাঁকে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক গান বাঁধতে দেখা গিয়েছে। সেফ ড্রাইভ সেফ লাইফ নিয়েও গান তৈরি করেছিলেন তিনি। বর্তমানে গোলকবাবু বাঁকুড়া জেলায় কর্মরত। কেউ বলছেন, থানায় বসে নয়, নিজের বাড়িতে বসেই করোনা নিয়ে গান গাইছিলেন তিনি। তবে সে বিতর্ক আপাতত অবান্তর। করোনার দাপটে যখন কাঁপছে গোটা দেশ, রাজ্য়েও করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বেডে দাঁড়িয়েছে তিনে, তখন গোলকবাবুর এই গান বেশ প্রশংসা পেয়েছে নেটিজেনদের কাছে।
কনস্টেবল পদের এই পুলিশকর্মী শুধু সচেতনতামূলক গানই নয়, সেইসঙ্গে পুরুলিয়ার ঝুমুর গান দারুণ ভালো গাইতে পারেন। নিজে ক্য়ানসার আক্রান্ত, চিকিৎসা চলছে, তবু গান বেঁধেই হাসিমুখে নিজের কর্তব্য় পালন করেন। গোলক মাহাতোর কথায়, "আসলে কী জানেন, গান তো অনেক লোক শোনে। তাই আমার যা বলার তা গান গেয়েই বলার চেষ্টা করি। এর বেশি কিছু নয়।"