সংক্ষিপ্ত
রহড়া থানা এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু এক তরুণের। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার রহড়া থানার অদূরে স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় নিরপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
রহড়া থানা এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু এক তরুণের। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার রহড়া থানার অদূরে স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় নিরপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্যে একের পর এক হিংসার ঘটনায় এমনতেই শাসকদলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়-সহ বিরোধীরা। এবার ফের সেই রাজ্যের বুকে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছে এক যুবক। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অন্যান্য দিনের মতো শনিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগণার রহড়া থানার পিছন থেকে মাঠে আবর্জনা পরিষ্কার করতে গিয়েছিলেন শেখ সাহিল নামে তরুণের দাদু। স্টিলের একটি কৌটা মতো দেখতে পান তিনি।ওই কোটোটি বালতিতে ভরে বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি। এরপর ওই কৌটোটি তরুণের হাতে চলে আসে। কৌটটি এরপর বাড়ির সামনের ল্যাম্পপোস্টে ছুঁড়ে মারতেই বিস্ফোরণ ঘটে । ছিন্ন ভিন্ন হয়ে শেখ সাহিলের শরীর। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় শেখ সাহিলকে উদ্ধার করে ব্যারাকপুর বিএন বোস মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নিষ চিকিৎসরা ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন, 'নেপথ্যে শুভেন্দু', ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় সিবিআই নোটিশ পেতেই বিস্ফোরক তৃণমূল
আরও পড়ুন, বৃষ্টির জমা জলে ডেঙ্গুর আশঙ্কা, কতটা সতর্ক কলকাতা পুরসভা ? কী নির্দেশ মমতার
প্রসঙ্গত, রাজ্যের এই প্রথম বোমাবাজিতে সাধারণ মানুষের প্রাণ হারাল না। একুশের বিধানসভার পরেও এই ঘটনা ঘটেছে। কখনও শিশুরা খেলতে গিয়ে বোমাকে বল ভেবে, তার আঘাতে আক্রান্ত হয়ে ছিন্নভিন্ন হয়েছে। কখনও বা পায়ে লেগেও বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। রাজ্যের বুকে একাধিক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। যার দরুণ, রাজ্য জগদীপ ধনখড় পর্যন্ত, রাজ্যকে বারুদের স্তুূপ পর্যন্ত বলেছেন। রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগতেই সম্প্রতি মমতাও বগটুই কাণ্ডের পর রাজ্য কড়া তল্লাশি চালাতে বলেছেন। তবে এবার শেষ রক্ষা হল না। বোমা উদ্ধারের আগেই প্রাণ হারাতে হল সাধারণ মানুষের।
আরও পড়ুন, 'কলকাতা ৭১' বদলাল কি বাইশে ? মৃণাল সেনের জন্মদিনে ফিরে দেখুন পরিচালকের ফ্রেমটা
সম্প্রতি হরিদেবপুরে অটোর ভিতর থেকে বোমা উদ্ধারকাণ্ডে প্রাক্তন পুলিশকর্তা অনিল জানা বলেছেন, 'চৈত্র সেলের ক্লিয়ারেন্স এসব। এরফলে জায়গায় জায়গায় বোমাবাজি, কথায় কথায় পিস্তল বের করা হচ্ছে। এভাবেই চলতে হবে প্রশাসনকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হলে এগুলি তো দেখতেই হবে।' এই ঘটনার পর দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। ভোটে জেতানোর জন্য, রাজনীতির জন্য ব্যবহার হচ্ছে পুলিশ ।' বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, 'গোটা রাজ্য বারুদের স্তুপ হয়ে রয়েছে। এই ইজারা কাদের।' যদিও ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, 'এখানে বেআইনি অস্ত্র ঢুকছে না। দুষ্কৃতিরা সমাজে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। পুলিশ সেটাই উদ্বার করছে। অস্ত্র বিহার ,ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ থেকে আসছে।'