সংক্ষিপ্ত

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকার সঙ্গে রাতের পর রাত সহবাস। এখানেই শেষ নয়, গর্ভবর্তী হতেই জোর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকার সঙ্গে রাতের পর রাত সহবাস। এখানেই শেষ নয়, গর্ভবর্তী হতেই জোর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে। নাবালিকা অবস্থায় কিশোরীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ ও ভ্রুণহত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হাওডা়র এক ইঞ্জিনিয়ার।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে  নাবালিকা কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন হাওডা়র ওই ইঞ্জিনিয়ার। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাতের পর রাত সহবাসও করে সে। এদিকে ইতিমধ্য়েই  রাতের পর রাত সহবাসের ফলে আচমকাই জানা যায়, বিয়ের আগেই ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। অভিযোগ, তখন ওই বিষয়টিকে লুকিয়ে রাখতে বলেন হাওড়ার ওই যুবক।ঘটনার কয়েকমাস পর নাবালিকার বয়েস ১৮ পেরোলে তাঁর সঙ্গে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করে হাওড়া ওই ইঞ্জিনিয়ার।

আরও পড়ুন, ঘুরতে নিয়ে গিয়ে ফাঁকা বাড়িতে প্রেমিকাকে লাগাতার ধর্ষণ, ধৃত যুবক

এরপর দ্রুতই ওই যুবতীর গর্ভবর্তী হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। এই অবস্থায় জানাজানি হওয়ার ভয়ে এক নার্সিংহোমে ভর্তি করিয়ে গর্ভপাত করানোর ভয়াবহ অভিযোগ ওঠে যুবকের বিরুদ্ধে।অভিযোগ কিছু দিন পর থেকেই ওই যুবক তরুনীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখছিল না। বিষয়টি জানাজানি হতেই তরুণীর পরিবারের লোকেরাও যুবকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে।  কিন্তু কোনও অবস্থাতেই তার টিকিটিও ধরা সম্ভব হয়না। শেষমেষ, বাধ্য হয়ে ওই তরুণী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই তদন্ত নামতেই ব্যাঙ্গালোরের কর্মস্থল থেকেই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন, 'ছেলেটি মোটেই ভাল নয়', সাগ্নিকের গ্রাস থেকে বাদ যেত না নাকি পল্লবীর বান্ধবীরাও

রাজ্যে ফের আরও একটা যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় উদ্বেগ বাড়াল প্রশাসনের। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস একটি বড়সড় প্রতারণা। এদিকে রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণ, গর্ভপাতের ঘটনা লেগেই আছে। সম্প্রতি বনগাঁ এলাকাতেও একটি নাবালিকার সঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছে। তফাৎ শুধু এটুকুই যে, সেখানে বিয়ের প্রতিশ্রুতি না দিয়েই ঘনিষ্ঠ হয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে প্রেমিকাকেই। কিন্তু কথা হচ্ছে আর কত এই ধরণের ঘটনা হবে পশ্চিমবঙ্গের বুকে।  কেন এই নৃশংসঘটনাগুলিতে যবনিকা টানা যাচ্ছে না, কেন রাজ্যের অপরাধ মনষ্কদের লাগাম পড়ানো যাচ্ছে না, ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে সমাজের স্তরে।

আরও পড়ুন, সাড়ে ৯ ঘন্টা জেরার পর আজ ফের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে তলব, কোনপথে সিবিআই

পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ছাত্রী-মহিলা-গৃহবধূ একা বাইরে বের হতে রীতিমতো আতঙ্কে থাকছে। গ্রাম বাংলা, মফস্বলে শুনশান এলাকাগুলিকেই টার্গেট করছে ধর্ষণকারীরা। তবে পৈশাচিক ধর্ষণের ঘটনার হাজারো উদাহরণ রয়েছে কলকাতার বুকে। গোবরডাঙা, দেগঙ্গা, মালদহ, মাটিয়া, হাঁসখালি, ময়নাগুড়ি, শান্তিনিকেতন একের পর এক ধর্ষণ হয়েই চলেছে রাজ্যে। প্রায় প্রতিসপ্তাহেই একাধিক গণধর্ষণের ঘটনা উঠে আসছে। কোথাও খুনের হুমকি, কোথাও ধর্ষণের পর হত্যা, কোথাও আবার ধর্ষণের পর দেহ দাহ করা হচ্ছে। ভয়াবহ একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে পশ্চিমবঙ্গে।