সংক্ষিপ্ত
ক্রেডিট কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিয়ে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা। গ্রেফতার এক। দিল্লি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলো বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
কালের অগ্রগতির সাথে সাথেই গোটা রাজ্যেই বেড়ে চলেছে সাইবার ক্রাইমের পরিমাণ। রোজই নিত্যনতুন পন্থা আবিষ্কার করে আম-আদমির পটেক ফাঁকা করে দিচ্ছে প্রতারকের দল। এমতাবস্থায় এবার ফের ক্রেডিট কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিয়ে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা অভিযোগ উঠল বাংলার বুকে। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। দিল্লি থেকে তাকে পাকড়াও করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গ ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের(West Bengal Tourism Development Corporation) জেনারেল ম্যানেজার ২৭/০৯/২০২১ তারিখে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায়(Bidhannagar Cyber Crime Police Station) এসে অভিযোগ করেন যে তার একটি ২০২৩ পর্যন্ত ভ্যালিডিটি ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। উনি ৪ অক্টোবর শেষবার কার্ডের বাকি টাকা চেক করে দেখেন ১৬৯৫৮ টাকা দিতে হবে।
এর কিছুদিনের মধ্যেই তার কাছে ওই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড দফতর থেকে বার বার ফোন এসে এবং তাকে বলা হয় তার ক্রেডিট কার্ডে রিওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে যার জন্যে তার থেকে নাম, ফোন নম্বর, জন্মের তারিখ, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য জানতে চায়। এর কিছুদিন পর ২৬.০৯.২০২১ তারিখে অভিযোগকারিণীর কাছে ক্রেডিট কার্ডের বিল আসে ১লক্ষ ৭২ হাজার ৮৮৪টাকার। ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন নয়ডা এবং গুরগাঁও থেকে তার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিল্লিতে হানা দেয় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন- যোগী ঝড়ে ধরাশায়ী অখিলেশ-মায়াবতী, উত্তরপ্রদেশে সর্ব বৃহৎ দল হিসাবে ফের আত্মপ্রকাশ বিজেপির
সেখান থেকে এই ঘটনার অন্যতম মূল চক্রি জ্ঞানদ্বীপ দিক্সিতকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তার কাছ থেকে অপরাধে ব্যবহার করা ফোন এবং ব্যাংক ডিটেলস উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে দিল্লি থেকে ৫ দিনের ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করিয়ে কলকাতা নিয়ে আসা হয়েছে। আজ তাকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনার সঙ্গে আর কাদের যোগ রয়েছে সেটা তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। এই ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুলিশ মহলেও। ধৃতদের জেরা করেই ঘটনা প্রসঙ্গে আরও নতুন তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে বলে মত পুলিশের।