সংক্ষিপ্ত
এবার পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সরাসরি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।
পুরভোটের (WB Municipal Election 2022) একাধিক বুথেই (Booth) অশান্তির (Unrest Incident) ছবি ধরা পড়েছে। ভোট লুঠ (Vote Loot) থেকে শুরু করে ছাপ্পা ভোট, বোমাবাজি (Bombing), গুলি-সহ বিভিন্ন বুথে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। বিজেপি (BJP), কংগ্রেস (Congress) থেকে শুরু করে সিপিএম (CPIM) একযোগে সবাই ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে সোমবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছিল বিজেপি। এমনকী, জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) এসডিও অফিসও ঘেরাও করতে দেখা গিয়েছিল সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের। এছাড়া নির্বাচন কমিশনেও (Election Commission) অভিযোগ জানানো হয়েছে বিজেপি ও সিপিএমের তরফে। আর এবার পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সরাসরি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার (Om Birla) কাছে অভিযোগ জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir chowdhury)।
স্পিকারকে লেখা চিঠিতে অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি যেহেতু একজন জনপ্রতিনিধি তাই মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তাঁর কাজ। আর সেই দায়িত্ব পালনে তাঁকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁর ওই চিঠিতে উঠে এসেছে রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার নির্বাচনে সন্ত্রাসের বিষয়ও। তৃণমূলের বিরুদ্ধেই সরাসরি এই অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর আশঙ্কা এনিয়ে পদক্ষেপ না করলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। আর এর জন্য স্পিকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।
পুরভোটের দিনই অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর দলের প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের ফোন পেয়েই বেরিয়ে পড়েছিলেন তিনি। প্রার্থী ও এজেন্টদের রিভলভার নিয়ে তাড়া করছে তৃণমূলের কর্মীরা, এমনটাই অভিযোগ করেন তিনি। এরপর বিভিন্ন জায়গা থেকে এজেন্টদের নিজের গাড়িতে করে বুথে পৌঁছে দেন। তাঁর আরও অভিযোগ, এক কংগ্রেস প্রার্থীকে প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। তবে তিনি প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করেননি। আর এই সব বিষয় নিয়েই ভোট মিটে যাওয়ার পরই সরাসরি স্পিকারের কাছে অভিযোগ করলেন অধীর চৌধুরী।
উল্লেখ্য, বিজেপির দাবি পুরভোটে ৯০০ টির বেশি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এরপর সব বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকেও তলব করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু, কমিশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে মাত্র দুটি বুথেই পুনর্নির্বাচন হবে। আর সেই মতো শ্রীরামপুর পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর বুথে ও দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচন হয়েছে।
আরও পড়ুন- মেয়ের হাতে মিষ্টি খেতে পারবেন ভাবেননি, ইউক্রেন ফেরৎ অন্বেষাকে পেয়ে এখনও বুক কাঁপছে বাবার