সংক্ষিপ্ত

হোটেল, রেস্টুরেন্ট বা খাদ্য দ্রব্য বিক্রি হয় এরকম যেকোন ছোট-বড় দোকানকে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের অধীনে লাইসেন্স করতে হবে। লাইসেন্স না থাকলে হতে পারে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। 
 

মালদহের চাঁচল মহকুমা এলাকায় এর আগে বিভিন্ন জায়গায় ভেজাল তেলের কারখানায় হদিস পাওয়া গেছিল। সেই সব জায়গায় অভিযানে গেছিল খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর। এবার ব্যবসায়ীদের সচেতন করার জন্য হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসল খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর। উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সুরক্ষা দফতরের অফিসার আয়েশা খাতুন। এই সচেতনতা মূলক বৈঠকটি হয়ে গেল বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী সমিতির হলে। 

ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডাবলু রজক, সম্পাদক পবন কেডিয়া, যুগ্ম সম্পাদক অঙ্কিত চৌধুরী এবং অন্যান্য সদস্য-গণ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খাবারের সঙ্গে যুক্ত ছোট বড় সকল ব্যবসায়ী। খাবারের দোকান, হোটেল, রেস্টুরেন্ট বা খাদ্য দ্রব্য বিক্রি হয় এরকম যেকোন ছোট-বড় দোকানকে (traders) খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের (Food Security Department) অধীনে লাইসেন্স (special licenses) করতে হবে। লাইসেন্স না থাকলে হতে পারে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা (fine of Rs 5 lakh)। 

লাইসেন্স এর জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র সহ এক সপ্তাহের মধ্যে আবেদন করতে হবে। এই কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে। এছাড়াও খাওয়ারের দোকানে কিভাবে হাইজিন বজায় রেখে  চলতে হবে সেই নিয়েও সচেতন করা হয় ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকেও জানানো হয় যে ভাবে বলা হল সেই অনুযায়ী তারা কাজ করবেন।

খাদ্য সুরক্ষা দফতর অফিসার আয়েশা খাতুন বলেন, "খাবারের সাথে যুক্ত সকল ব্যবসায়ীকে লাইসেন্স করতে হবে। তার জন্য দপ্তরে এসে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় নথিপত্র দিয়ে আবেদন করতে হবে। সকলকে সঠিক নিয়ম মেনে চলতে হবে। লাইসেন্স না থাকলে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। এই নিয়েই আজকের এই সচেতনতা মূলক বৈঠক ছিল।"

হরিশ্চন্দ্রপুর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক পবন কেডিয়া বলেন," আজ খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠক ছিল। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, মুদিখানার দোকান, রাস্তার বিভিন্ন খাওয়ারের দোকান সকলকেই লাইসেন্স করতে হবে। যার যেমন ব্যবসা লাইসেন্স করতে তেমন খরচ হবে।"

হরিশ্চন্দ্রপুর ব্যবসায়ী সমিতি গঠন হয়েছে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে। ব্যবসা সংক্রান্ত যে কোন দরকারে ব্যবসায়ী সমিতির সকল ব্যবসায়ীদের এক ছাদের তলায় আনে। ফলে সকলের মধ্যে সমন্বয় বজায় থাকে।