সংক্ষিপ্ত
বুধবার অনুব্রত মন্ডল বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন নিজের কেউ যদি প্রার্থী দিতে না পারে তার জন্য কি তৃণমূল কংগ্রেস দায়ি। বিজেপি স্থানীয় কাউকে পাচ্ছে না প্রার্থী করার জন্য।
খেলা হবে। ফুটবল নয়, এবার হকি নিয়ে খেলা হবে (Khela Hobe)। বুধবার সাংবাদিকদের সামনে খেলা হবে স্লোগানের নয়া সংস্করণ (new version of Khela Hobe Slogan) তুলে ধরলেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি (Birbhum TMC district president) অনুব্রত মন্ডল (Anubrata Mandal)। তাঁর দাবি বীরভূমের ছটা পুরসভার মধ্যে যে পাঁচটায় নির্বাচন হচ্ছে, সেখানে হকি খেলবে তৃণমূল কংগ্রেস। উল্লেখ্য, বীরভূম জেলার মোট ছটি পুরসভা রামপুরহাট, সাঁইথিয়া, সিউড়ি, দুবরাজপুর, বোলপুর ও নলহাটির মধ্যে, নলহাটি বাদ দিয়ে প্রতিটিতেই নির্বাচন রয়েছে।
বুধবার অনুব্রত মন্ডল বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন নিজের কেউ যদি প্রার্থী দিতে না পারে তার জন্য কি তৃণমূল কংগ্রেস দায়ি। বিজেপি স্থানীয় কাউকে পাচ্ছে না প্রার্থী করার জন্য। দূর দূর থেকে লোক নিয়ে এসে প্রার্থী করছে। এমন একটা দল যার লোকজন নেই, তারা নির্বাচনে লড়ছে। এরজন্য কি তৃণমূল কংগ্রেস দায়ী। সাংবাদিকরা তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাস নিয়ে প্রশান করলে অনুব্রত বলেন এমন একটা ভিডিও দেখান, যেখানে প্রমাণ হচ্ছে যে তৃণমূল ওদের ওপর হামলা করেছে বা আটকে রেখেছে। সাঁইথিয়াতে এমন একটাও ঘটনা নেই যেখানে তৃণমূল বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিয়েছে।
বিরোধীদের সন্ত্রাসের অভিযোগ এদিন তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন অনুব্রত। তিনি পরিষ্কার বলেন একটা অন্তত ছবি দিয়ে প্রমাণ করুন যে সন্ত্রাস করেছে তৃণমূল। কোনও দল প্রার্থী দিতে পারছে না, সেটা তাদের ব্যর্থতা। এদিকে, বুধবার বিজেপি অভিযোগ করেছে বীরভূমে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে আক্রান্ত হয়েছে দলীয় প্রার্থী ও সমর্থকরা। তাদের একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছে। অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
পুরসভা নির্বাচনে বুধবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। এদিন বেলার দিকে বোলপুর পুরসভার ১২ জন প্রার্থী এক সঙ্গে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন। বোলপুর মহকুমা শাসকের অফিস চত্বরে সেসময় হকি খেলছিল তৃণমূলের লোকজন।
অভিযোগ বিজেপির কর্মী সমর্থকদের দেখেই তারা তেড়ে যায়। এরপর বিজেপি মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়া প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকদের একটি ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। দুপুরের দিকে পুলিশ গিয়ে তিন বিজেপি কর্মীকে মহকুমা শাসকের অফিসে দিয়ে আসে। বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসী চরণ মণ্ডল বলেন, "পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতোই তৃণমূল আমাদের মনোনয়ন জমা করতে বাধা দিচ্ছে। পুলিশের সামনে মারধর করা হলেও পুলিশ ছিল নির্বাক। এটাই তৃণমূলের গণতন্ত্র।
তবে গোটা বিষয় অস্বীকার করে তৃণমূলের বোলপুর শহর সভাপতি নরেশ বাউরি বলেন, আমরা কাউকে মারধর করিনি। ওরা সব ওয়ার্ডে প্রার্থী খুঁজে পায়নি। এখন এসব নাটক করছে।