সংক্ষিপ্ত
- তেলেঙ্গানার মতো বাংলাতেও এনকাউন্টারের ছক
- অভিযোগ তুললেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ
- ভুয়ো মামলায় ফাঁসিয়ে এনকাউন্টার করা হতে পারে বিজেপি কর্মীদের
- এমনই আশঙ্কা ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদের
তেলেঙ্গানার এনকাউন্টারকে হাতিয়ার করে বাংলাতেও একইভাবে বিজেপি কর্মীদের গুলি করে মারতে পারে রাজ্যের পুলিশ। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর দাবি, ভুয়ো ধর্ষণ মামলায় বিজেপি কর্মীদের ফাঁসিয়ে তাঁদের মেরে ফেলার চক্রান্ত করছে রাজ্য সরকার।
চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ তুলে অর্জুন বলেন, তেলেঙ্গানায় তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রবল ক্ষোভ জন্মেছিল মানুষের মনে। এনকাউন্টার ঠিক না ভুল, তা নিয়ে অনেক বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু অভিযুক্তদের এনকাউন্টার করে হত্যার পর আবেগের বশবর্তী হয়েই তাতে সমর্থন জানিয়েছে আমজনতা। তেলেঙ্গানা পুলিশও বৈজ্ঞানিক তথ্য দিয়ে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করার চেষ্টা করছে বলে দাবি অর্জুনের। এই প্রসঙ্গেই তিনি অভিযোগ তোলেন, তেলেঙ্গানা পুলিশের দেখানো পথে হেঁটে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশও ভুয়ো এনকাউন্টার করে বিজেপি কর্মীদের মারার চেষ্টা করতে পারে।
অর্জুন বলেন, 'আমাকে এক পুলিশ অফিসার এনকাউন্টারের হুমকি দিয়েছেন। সেই প্রমাণ আমার মোবাইলে আছে। বাংলায় পুলিশের উপরে ভরসা করলে সমস্ত বিজেপি কর্মীকে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে গুলি করে দেবে। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ। কোথায়, কখন, কোন বিজেপি কর্মীকে মেরে দেবে, সেই পরিকল্পনা চলছে।'
রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাতের ঘটনাতেও শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপি সাংসদ। জগদীপ ধনখড়ের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, 'রাজ্যপালকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বিধানসভায় ঢুকতে দিচ্ছে না। রাজ্যপালের পদ তো সাংবিধানিক। তাঁকে পর্যন্ত সম্মান দিচ্ছে না। সংবিধান রক্ষা করার একজনই আছেন, তিনি রাজ্যপাল। আর সংবিধান ভাঙার জন্য আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মানুষ সবই দেখছেন, কে সংবিধান রক্ষা করছে আর কে সংবিধান ভাঙছে।'