সংক্ষিপ্ত
মোটের ওপর ঠিকই ছিল বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বিরোধী প্রস্তাব বিনা বাধায় পাশ হয়ে যাবে বিধানসফভায়। কারণ এই রাজ্য শাসকদলের বিধায়ক সংখ্যা বিরোধীদের তুলনায় অনেক বেশি।
বিএসএফ-এর (BSF) এক্তিয়ার বিরোধী প্রস্তাব পাস হল রাজ্য বিধানসভায় (West Bengal Assembly)। মঙ্গলবারই এই প্রস্তাব (resolution)আনা হয়েছিল। পক্ষে ১১২টি ভোট পড়ে। আর বিপক্ষে ৬৩টি ভোট পড়ে। সম্প্রতি কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও পঞ্জাবে বিএসএফ-এর এক্তিয়ার আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। এই তিন রাজ্যে বিএসএফকে সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা জুড়ে তল্লাশি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মোটের ওপর ঠিকই ছিল বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বিরোধী প্রস্তাব বিনা বাধায় পাশ হয়ে যাবে বিধানসফভায়। কারণ এই রাজ্য শাসকদলের বিধায়ক সংখ্যা বিরোধীদের তুলনায় অনেক বেশি। সেই মত পক্ষে ভোট পড়ে ১১২টি। তবে বিধানসভায় উপস্থিত বিজেপির ৬৩জন বিধায়কই এই প্রস্তাবের বিক্ষপে ভোট দিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পক্ষেই মত দিয়েছেন।
Jammu Kashmir: নিহত ২ ব্যবসায়ী কি জঙ্গি সমর্থক, প্রশ্নের মুখে শ্রীনগরের জঙ্গি বিরোধী অভিযান
Shocking Video: 'ভয়ঙ্কর প্রমোদ বিহার', মাঝ আকাশে ছিঁড়ল প্যারাসুটের দঁড়ি, দেখুন তারপর কী হল
Rajasthan CM: শিক্ষকদের সভায় ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন, মুখ লাল হল অশোক গেহলটের
এদিন পরিষদীয় মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিএসএফএর এক্তিয়ার বাড়ানোর ইস্যুটির বিরুদ্ধে প্রস্তাব উত্থাপন করেন। বিধানসভার ১৮৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী প্রস্তাব আনা হয়। আলোচনার পর ভোটাভুটিও হয়। সেখানে তৃণমূলের বিধায়ক উদয়ন গুহর মন্তব্য নিয়েও যথেষ্ট উত্তেজনার তৈরি হয়েছ। কারণ আলোচনার হয় তিনি বিএসএফ জওয়ানদের মহিলাদের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন। বিএসএফ জওয়ানরা সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের ওপর অত্যাচার করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
যাই হোক গত ১১ অক্টোবর একটি নোটিষ জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার বিএসএফএর এক্তিয়ার বাড়িয়ে দিয়েছিল। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই এদিন বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ হয়।থেক তারপর থেকেই বিষয়টি বিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সুরে কথা বলছিল তৃণমূল কংগ্রেসও। তবে পরবর্তী কালে এই বিষয়ে কী প্রস্তাব নেওয়া হবে তা এখনও জানানি রাজ্য প্রশাসন। কারণ এমনিতেই কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত ক্রমশই বাড়ছে। সিবিআই তদন্তেও আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য সরকার।