সংক্ষিপ্ত

নির্বাচনের হার নিয়ে আড়াই মাস ধরে কাচাছেঁড়ে চলছে বিজেপির অন্দরে। হারের পর্যালোচনা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত গেরুয়া শিবির। আর সেই সেই মুহূর্তেই রাজ্যে দলের ভরাডুবি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় ২০০টি আসন জেতার স্বপ্ন দেখেছিল বিজেপি। প্রচার মঞ্চ থেকে দলীয় নেতৃত্বের বক্তব্যে একাধিকবার উঠে এসেছিল সেই বিষয়টি। কিন্তু, ফল প্রকাশের পর কার্যত ভঙ্গ হয়েছিল বিজেপির সেই স্বপ্ন। ৭৭-এই থেমে যায় গেরুয়া রথ। কিন্তু, কী কারণে ৭৭-এ থামতে হয়েছিল বিজেপিকে। এই হার নিয়ে আড়াই মাস ধরে কাচাছেঁড়ে চলছে বিজেপির অন্দরে। হারের পর্যালোচনা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত গেরুয়া শিবির। আর সেই সেই মুহূর্তেই রাজ্যে দলের ভরাডুবি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

আরও পড়ুন- আজ থেকে শুরু বাদল অধিবেশন, একে অপরকে ঘায়েল করতে একাধিক ইস্যু নিয়ে তৈরি সরকার-বিরোধীরা
 
গতকাল পূর্ব মেদিনীরপুরের চণ্ডীপুরে একটি সাংগঠনিক সভায় অংশ নিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানে দলের হার নিয়ে আত্মসমালোচনার সুর শোনা গেল তাঁর গলায়। তিনি বলেন, "অনেকেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন যে রাজ্যে ২৯৪টি আসনের মধ্যে ১৭০ থেকে ১৮০টি তো বিজেপি পেয়েই যাবে। খেজুরি, নন্দীগ্রাম, ভগবানপুর, নন্দকুমার জিতে যাব। চণ্ডীপুরটা হারলে হারুক। তাতে কিছু প্রভাব পড়বে না। এই আত্মতুষ্টির কারণে আমারা হেরেছি। নিজের দলের প্রার্থীদের নামেই খারাপ কথা বলেছেন অনেকে। আর এভাবেই অনেকে নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করেছেন।"

আরও পড়ুন- শুরু বাদল অধিবেশন, সাইকেলে চড়ে সংসদে তৃণমূল সাংসদরা

এবার বিধানসভা নির্বাচনে বাংলাকে পাখির চোখ করেছিল বিজেপি। গোটা দেশের নজর ছিল বাংলার নির্বাচনের দিকে। আর সেই কারণেই বঙ্গে প্রচারের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল বঙ্গের হেভিওয়েট নেতৃত্বদের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুর করে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, রাজনাথ সিং, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ আরও অনেককেই বঙ্গের প্রচারে দেখা গিয়েছিল। প্রচারে রীতিমতো ঝড় তুলেছিল তারা। এমনকী, বঙ্গে ২০০টি আসনে জিতবে বলে সম্পূর্ণ আশাবাদী ছিলেন বিজেপির প্রথম সারির নেতারা। কিন্তু, ফল প্রকাশের পরই তাঁদের ভুল ভেঙে যায়।    

আরও পড়ুন- মাত্র ৯ মিনিটের জন্য 'তিনি' এসেছিলেন, সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে ডেরেকের খোঁচা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে

এরপরই দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে দল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হারের জন্য দায়ি করা হয়েছিল কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও দিলীপ ঘোষকে। কয়েকজন আবার দায়ি করেছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেই। তবে তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি শুভেন্দু। বরং দলীয় কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে ও ভোটের বিশ্লেষণ তুলে ধরে তিনি বলেন, "ভারতমাতার সন্তান হয়ে বিজেপি করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গকে দ্বিতীয় বাংলাদেশ হওয়া থেকে বাঁচাতে হবে। তাই আঁকড়ে ধরতে হবে দলীয় পতাকাটাকে। যে ভোট আমরা পেয়েছি, তার ৮০ শতাংশ আমাদের আদর্শগত ভোট। এই ভোট কোনওভাবে অন্য কারও নয়। কাজেই কে গেল, আমাদের তাতে কিছু আসে যায় নি। কোনও চিন্তা করার কারণ নেই।"