সংক্ষিপ্ত
পূর্ব মেদিনীপুরে হামলাকাণ্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না বিধানসভার এলাকায় নিমাই দাস নামে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতির বিরুদ্ধে।
পূর্ব মেদিনীপুরে ( East Midnapore) হামলাকাণ্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা (BJP MLA Ashoke Dinda)। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না বিধানসভার এলাকায় নিমাই দাস নামে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতির বিরুদ্ধে। এনিয়ে তৃণমূলকে তোপ দেগেছেন বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA)।
বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা টুইটে জানিয়েছেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা নিমাই দাসের উপর বেধড়ক মারধর চালিয়েছে। মারধর এত পরিমাণেই করা হয়েছে যে, অত্যাচারের জেরে শেষ অবধি জ্ঞান হারিয়েছে নিমাই দাস। এখানেই শেষ নয়, টুইটে অশোক দিন্দা আরও জানিয়েছেন, নিমাই দাসকে মারধোরের পর অজ্ঞান অবস্থাতেই কেলেঘাই নদীর ধারে ফেলে আসে দুষ্কৃতিরা। এরপরে আচমকাই চোখে পড়ে এলাকাবাসীর। খারাপ আবহাওয়া চলছে কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে। লাগাতার বৃষ্টি চলছে। এদিকে এমন সময় কেলেঘাই নদীর পাড়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া নিমাই দাসের ওই পরিস্থিতি দেখে কার্যতই হতবাক হয়ে যায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। তারপর দ্রুত খবর দেওয়া হয় পুলিশে। আশঙ্কাজনক অবস্থাতেই নিমাই দাসকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ এবং এলাকাবাসী।এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা। তিনি টুইটারে তৃণমূলকে নিশানা করে বলেছেন,' পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র বলে কিছুই নেই। এই ঘটনার ধিক্কার জানাই।' তবে এই ঘটনায় এখনও অবধি তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে রাজ্যে পুরভোটের আগে এহেন ঘটনায় কার্যত নির্বাক এলাকাবাসী।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটের পর থেকেই অধ্যাধিক হামলার পরিমাণ বেড়ে যায় রাজ্যে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই হামলার জন্য অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকেই তুলেছে বিজেপি। ভোটের আগে দিনহাটা, শালবনীর খুনের ঘটনা থেকে শুরু করে ভোটের পর মগরহাট, কাকুড়গাছি থেকে একাধিক জায়গায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। বিরাটির নিমতায় বিজেপি কর্মীর মায়ের উপরও বেধড়ক মারের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। একাধিক খুন, ধর্ষণ, মারধরের কারণে মামলা উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টে। গতবছর ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তের দায় ভার কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা সিবিআই-কে দিয়েছে হাইকোর্ট। ইতিমধ্য়ে একাধিক ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে এবার পূর্ব মেদিনীরপুরের এই ঘটনায় ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, এখন গ্রাম-বাংলায় অত্যাচার থামেনি। তবে এই মর্মান্তিক ঘটনায় আদতে কোন রাজনৈতিক দল জড়িয়ে রয়েছে নাকি এর পিছনে কোনও ব্য়ক্তিগত হিংসার কারণ লুকিয়ে রয়েছে তাও প্রকাশ আসেনি।