সংক্ষিপ্ত

সম্প্রতি হাওড়া পৌরনিগমের নির্বাচনের জন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি কমিটির ঘোষণা করেন। বুধবার এই প্রশ্নে রীতিমতো তোপ দাগেন হাওড়া সদর বিজেপির সভাপতি সুরজিৎ সাহা। 

যমজ শহরে পুরভোটের (Municipal Election) ঢাকে কাঠি পড়তেই ফের প্রকাশ্যে বিজেপির (BJP) দলীয় কোন্দল (infighting in Howrah BJP)। সম্প্রতি হাওড়া পৌরনিগমের নির্বাচনের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে বিরোধী দলনেতা (Opposition Leader) শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari) একটি কমিটির ঘোষণা করেন। পাশাপাশি মঙ্গলবার তিনি হাওড়া সদরে বিজেপির খারাপ ফলাফলের জন্য বিজেপির জেলার নেতৃত্বের সঙ্গে তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী অরূপ রায়ের গোপন বোঝাপড়াকে দায়ী করেন।

বুধবার এই প্রশ্নে রীতিমতো তোপ দাগেন হাওড়া সদর বিজেপির সভাপতি সুরজিৎ সাহা। তিনি কটাক্ষ করে বলেন যে এই কমিটি হাওড়া জেলা সদরের সঙ্গে আলোচনা করে তৈরি হয়নি। আদতে এই টিমটি বিজেপির মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের বি টিম হিসাবে কাজ করছে। আর সদর সভাপতি হিসাবে তিনি এর তীব্র বিরোধিতা করছেন। পাশাপাশি তিনি বলেন কে প্রকৃত বিজেপি তার সার্টিফিকেট শুভেন্দু অধিকারীর থেকে নেবেন না হাওড়ার বিজেপি কর্মীরা।

তিনি শুভেন্দুকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন নারদার টাকা হাতে টিভিতে তাকেই দেখা গেছে। তাই তিনি আগে নিজের সততার প্রমান দিন। তাঁরা বিগত ২৮ বছর ধরে বিজেপিতে রয়েছেন, তাঁরা বিজেপিতেই থাকবেন। তাঁদের কারোর কাছ থেকে সার্টিফিকেট নেওয়ার দরকার নেই। উনি যা তৃণমূল থেকে নিয়ে এসেছিলেন, সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত বা মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে চলে গেছেন। শুভেন্দু নিজে বিজেপিতে থাকবেন নাকি চলে যাবেন তা কেউ জানে না। তাই তার থেকে আসল বিজেপি কর্মীরা সার্টিফিকেট নেবে না। 

হাওড়া সদর বিজেপির সভাপতি বলেন যে অভিযোগ শুভেন্দু তুলেছেন সেটা যদি প্রমান করতে না পারেন তাহলে তাকে প্রকাশ্যে হাওড়ার বিজেপি কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি তো বিরোধী দলের নেতা তিনি যদি জানেন সেই নেতাদের, যাদের তৃণমূলের সঙ্গে যোগ রয়েছে। তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি কেন, তাকে দল থেকে বের করে দেওয়া হয়নি কেন। বুধবার এই ভাষাতেই ক্ষোভ উগরে দেন সুরজিত সাহা।  

Mamata Banerjee-তেলের দাম বাড়িয়ে ৪লক্ষ কোটি টাকা আয় করেছে কেন্দ্র,দাবি মমতার

Modi in Approval ratings-বিশ্বনেতাদের ব়্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর, জনপ্রিয়তার শীর্ষে মোদী

হাওড়া সদর তৃণমূলের সভাপতি ও ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ দাবি করেন এই অভিযোগ লজ্জাজনক। ভোটে হেরে ভুলভাল বকছে বিজেপি। মানুষ এদের পাশে নেই তাই এদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। নিজেদের পিঠ বাঁচাতে এখন এইসব হাস্যকর কথা বলছে।

প্রসঙ্গত বিধানসভার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বহু বিজেপিতে আসা নেতারা ফের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে গেছেন। হাওড়া জেলা থেকে প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় পুনরায় তার আগের দলে ফিরে গেছেন। তবে বিজেপির অভ্যন্তরীণ এই দ্বন্দ না কাটলে আগামী পৌর নিগমের নির্বাচনে দল কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।