সংক্ষিপ্ত
ফের রুপো পাচারের পর্দা ফাঁস করল বিএসএফ। বাংলাদেশে পাচারের আগেই টোটো থেকে লক্ষাধিক টাকার রুপোর গয়না উদ্ধার করল সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ফের রুপো পাচারের পর্দা ফাঁস করল বিএসএফ (BSF)। বাংলাদেশে পাচারের আগেই টোটো থেকে লক্ষাধিক টাকার রুপোর গয়না (Smuggling Precious Metals )উদ্ধার করল বিএসএফ। বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার স্বরূপনগর থানার ভারত-বাংলাদেশ হাকিমপুর সীমান্ত থেকে এক পাচারকারী সহ প্রচুর রুপোর গয়না উদ্ধার করলো সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF)।
এদিন ভোর রাতে তাবিবত মোল্লা নামক এক টোটো চালক টোটোতে করে অভিনব কায়দায় রুপো পাচার করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সীমান্তে যাওয়ার সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে। তল্লাশি চালাতেই বিএসএফের চক্ষু চড়কগাছ। টোটোর সিটের নিচে থেকে এবং রডের মধ্যে থেকে প্রায় চার কিলো রুপোর গয়না উদ্ধার করে বিএসএফ। যার বাজার মূল্য ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৪০০ টাকা। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় বাংলাদেশের পাচারের উদ্দেশ্যেই তাবিবত মোল্লা রূপো গুলি সীমান্তের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। বিএসএফের ১১২ নং ব্যাটালিয়ানের কোম্পানি কমান্ডার সন্তোষ কুমার যাদবের নেতৃত্বে টহলের সময় সে ধরা পড়ে যায়।
আরও পড়ুন, Dilip Ghosh: 'তৃণমূলের নিজেদের মধ্য়েই গোলা-গুলি', ক্যানিংকাণ্ডে তোপ দিলীপের
ধৃতের বাড়ি পার্শ্ববর্তী তারালী গ্রামে। তার কাছ থেকে আরো কিছু ভারতীয় মুদ্রা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে বিএসএফ। রুপোর গয়না, নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর জওয়ানরা তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দিয়েছে এবং ধৃত পাচারকারীকে স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবার ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। চলতি বছরের অক্টোবরের শেষে, ভারত-বাংলা সীমান্ত দিয়ে শরীরের আড়ালে লুকিয়ে রুপোর বাট পাচার করতে গিয়ে বামাল সমেত বিএসএফ-র জালে ধরে পড়ে যায়। ধৃত ওই পাচারকারী খালিদ হোসেনকে রীতিমতো তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে দেহের বিভিন্ন অংশে লুকিয়ে রাখা এক এক করে ৮ কেজি লক্ষাধিক টাকা মূল্যের রুপোর বাট উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন, Polls: দিল্লিতে শীর্ষ নের্তৃত্বের সঙ্গে বৈঠক সুকান্তর, ভোটের আগে ভাঙন রুখতে কোন পথে BJP
বিশেষ সূত্র মারফত জানা যায়, সম্প্রতি কয়েকদিন ধরেই বিএসএফ জওয়ানদের কাছে সূত্র মারফত খবর আসছিল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ছক বদল করে পাচারকারীরা মূল্যবান রুপোর বাট পাচার করছে কাঁটাতার টপকে ওপারে।কিন্তু কোনভাবেই নাগাল পাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না এই চক্রের সদস্যদের। অবশেষে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে এদিন ওঁৎ পেতে বসে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। তারপর এই আচমকা সন্দেহভাজন ভাবে খালিদ হোসেন নামের ওই ব্যক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। ঠিক তার পরেই নিশ্চিত হতেই তাকে ঘিরে ধরে ভারতীয় জওয়ানেরা। তল্লাশি শুরু হতে যাবতীয় কর্মকাণ্ডের পর্দা ফাঁস।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে