সংক্ষিপ্ত

  • ল্যাপটপ চোরাই কারবারে বিএসএফ জওয়ান
  • আন্তর্জাতিক পাচারচক্রে মহিলা যোগ
  • গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চোখ কপালে পুলিশের
  • কীভাবে চলত এই চোরা কারবার

ল্যাপটপ, কম্পিউটারের চোরাই কারবারের ঘটনায় ধরা পড়ল এক বিএসএফ জওয়ান সহ পাঁচ। ধৃতদের মধ্যে এক মহিলাও রয়েছেন। ধৃত মহিলা সম্পর্কে ওই জওয়ানের স্ত্রী বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় জয়নগর থানার কুলপি রোড এলাকা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে বারুইপুর পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও জয়নগর থানার পুলিশ। ধৃতদের বৃহস্পতিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তদন্ত করতে চাইছে। 

আরও পড়ুন : খাবারে মুখ দিয়েছে পোষ্য সারমেয়, অবলা প্রাণীটিকে পুড়িয়ে মারল মালকিন

বুধবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশান গ্রুপ ও জয়নগর থানার পুলিশ জয়নগর থানা এলাকার কুলপি রোডে নজরদারি শুরু করে। সেই সময় একটি সুমো গাড়িতে করে এক ব্যক্তি সস্ত্রীক মন্দিরবাজারের দিক থেকে বারুইপুরের দিকে আসছিলেন। সন্দেহ হওয়ায় সেই গাড়িটিকে আটক করে পুলিশ। গাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এগারোটি ল্যাপটপ, পাঁচটি সিপিইউ ও ছয়টি মনিটার উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ল্যাপটপ সহ বাকি জিনিসপত্রের সঠিক কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ঐ গাড়িতে থাকা এক মহিলা সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় পেশায় বিএসএফ জওয়ান দীপঙ্কর হাজরা এই পাচার চক্রের মূল পান্ডা। স্ত্রীকে সাথে নিয়ে মন্দিরবাজার এলাকা থেকে চোরাই ল্যাপটপ, কম্পিউটার পাচারের ব্যবসা করত সে।

আরও পড়ুন : কালী পুজোকে কেন্দ্র করে তৃণমূলে গোষ্ঠী সংঘর্ষ, উত্তেজনা লেকটাউনে

আসলে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে শ্রীনগরে কর্মরত সে। ছুটিতে বাড়িতে এসে এই চোরা কারবার করে বলে জেরায় জানতে পেরেছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদ দিয়ে এইসব চোরাই মালপত্র বাংলাদেশে পাচার করা হতো বলেও জেরায় জানিয়েছে দীপঙ্কর। গ্রেফতার হওয়া মহিলা রাখি মণ্ডল সম্পর্কে দীপঙ্করের স্ত্রী বলে জানা গেছে। বাকি দুজনের মধ্যে একজন গাড়ির চালক ও অন্যজন ওয়াসিম শেখ দীপঙ্করের বন্ধু। দীপঙ্করকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনায় জড়িত আরও একজন সানোয়ার বৈদ্যকে মন্দিরবাজার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সানোয়ারের কাছ থেকে ও ১৭ ল্যাপটপ, পাঁচটি সিপিইউ ও ছয়টি মনিটার উদ্ধার করে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গা থেকে সানোয়ার চোরাই জিনিসপত্র কিনে সেগুলি দীপঙ্করের কাছে বিক্রি করত বলে পুলিশ তদন্তে জেনেছে। এই ঘটনায় আরও কে বা কারা জড়িত আছে সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। শীঘ্রই এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত তা জানতে পারবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।