সংক্ষিপ্ত
৪৬ লক্ষ টাকার সাথে সাথে নগদ ৫ কোটি। ব্যবসায়িকে কাজের বরাতের লোভ দেখিয়ে একের পর এক টাকা হাতানোর খেলা। কেড়ে নিয়েছিলেন ফোর্ড এন্ডেভার গাড়িটাও। অনুব্রত সম্পর্কে বিস্ফোরক অভিযোগ গাড়ি ব্যবসায়ীর।
১ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বাইরে অপেক্ষা করার পর অবশেষে বোলপুরের ভোলে বোম রাইস মিলে প্রবেশ করল সিবিআই-এর গাড়ি। গোরু পাচারের টাকা অনুব্রত মণ্ডলের হাত বদল হয়ে এই মিলে আসত কি না, সেই বিষয়ে আজ তদন্ত চালাতে যায় সিবিআই। তখনই আধিকারিকদের নজরে পড়ে মিলের পিছন দিকের একটি গ্যারাজ। আর সেই গ্যারাজের তালা খুলতেই প্রায় চোখ কপালে ওঠার জোগাড়!
প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে ওই রাইস মিলে তল্লাশি চালিয়ে রীতিমত হতবাক তদন্তকারীরা। গ্যারাজের মধ্যে রয়েছে সারি সারি বিলাসবহুল গাড়ি। মোট ৫ টি গাড়ির মধ্যে ৪টি ছিল এসইউভি ও একটি হুড খোলা গাড়ি। প্রায় প্রত্যেকটি গাড়িতেই সাঁটানো রয়েছে তৃণমূলের ব্যাজ। রাজ্য সরকারের স্টিকারও লাগানো ছিল বলে খবর। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, ওই চালকলটি অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী ও কন্যার নামে নথিভুক্ত রয়েছে। সেই চালকলেই মিলল দামি দামি গাড়ি। তার মধ্যে ডাব্লিউবি ৫৪ইউ ৬৬৬৬ নম্বরের ফোর্ড এন্ডেভার নামে একটি গাড়িও রয়েছে। পরিবহণ দফতরের নথি অনুযায়ী, ওই গাড়ির মালিক প্রবীর।
সিউড়ির বাসিন্দা প্রবীর মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি পেশায় গাড়ি ব্যবসায়ী। সঙ্গে যৌথ মালিকানায় ঠিকাদারির কারবার করেন তিনি। প্রবীরবাবু এদিন বলেন, ‘গাড়িটা দিয়েছিলাম বিশ্বকর্মা পুজোর সময়। ৪৬ লক্ষ টাকার গাড়ি দিয়েছিলাম, তিলপাড়া বাঁধ সংস্কারের কাজ পেয়েছিলাম।” তাঁর আরও দাবি, ৪৬ লক্ষের সাথে সাথে তিনি নগদ ৫ কোটি টাকাও দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডলকে এবং সেই কাজের টেন্ডারও পাননি বলে অভিযোগ।
চালকল থেকে উদ্ধার হওয়া ফোর্ড এন্ডেভার গাড়িটা জোর করেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি তাঁর। সেটি ফেরত চাইলে গাঁজা কেস দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার গাড়িগুলি উদ্ধার হওয়ার পর তাঁর নাম সামনে আসতেই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলে গাড়ির মালিক বলেন, ভয়ে অভিযোগ করতে পারিনি। আমাদের বেঁচে থাকা দুঃসহ করে দিয়েছে। দাপুটে তৃণমূল নেতার 'গাড়ি চাপবি, নাকি প্রাণে বাঁচবি' হুমকিতে কার্যত জেরবার হয়ে গিয়েছে ওই ব্যবসায়ির জীবন।
আরও পড়ুন-
‘কেষ্টা ব্যাটাই চোর’, আমূলের জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছায় প্রাসঙ্গিকতার ইঙ্গিত?
আত্মবিশ্বাসে ডগমগ অনুব্রত, জোর গলায় সাংবাদিকদের ধমক!
'অবৈধ চাকরিকে বৈধ করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন মমতা'- বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর