সংক্ষিপ্ত

গরু পাচারকাণ্ডে এবার বিএসএফ কম্যাডান্ট সতীশকুমারকে গ্রেফতার করল ইডি।  সতীশ কুমারের বিরুদ্ধে ১২ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিছুদিন আগেই সতীশকুমারের স্ত্রীর কয়েক কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।  

গরু পাচারকাণ্ডে এবার বিএসএফ কম্যাডান্ট সতীশকুমারকে গ্রেফতার করল ইডি। এর আগে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল তাঁকে। জামিনে পরে মুক্ত হয়েছিলেন। তবে এবার দিল্লি থেকে  বিএসএফ কম্যাডান্ট সতীশকুমারকে ডেকে পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সতীশ কুমারের বিরুদ্ধে ১২ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিছুদিন আগেই সতীশকুমারের স্ত্রীর কয়েক কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এবার সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

 দেশজুড়ে এই মুহূর্তে গরুপাচার এবং কয়লাপাচারকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। এই দুই কেলেঙ্কারিতে ইডি এবং সিবিআই সমান্তরালভাবে কাজ করছে। তদন্তকারীদের হাতে ইতিমধ্যেই একাধিক হেভিওয়েটের নাম উঠে এসেছে। এবং সিবিআই-র হাতে উঠে এসেছে বেশ কিছু বিএসএফ- নাম। গরুপাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ এনামূল হককে গ্রেফতারের পরেই সতীশকুমারকে স্ক্যানারে নেন তদন্তকারীর দল। প্রসঙ্গত, সিবিআই অফিসারেরা তদন্তে নামতেই উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

আরও পড়ুন, কোন্নগরে তরুণীকে ধর্ষণে অভিযুক্তের সঙ্গে কাঞ্চন মল্লিকের ছবি ভাইরাল, সরব বাম-বিজেপি

মধ্য কলকাতার রেস্তরা- কফিশপগুলিতে হামেশাই যাতায়াত লেগে থাকত এনামূল হক, আনারুল শেখ ও মহম্মদ মোস্তাকদের। আর এখান থেকেই গরু পাচার এবং টাকা পয়সার যাবতীয় লেনদেন চলত। এছাড়া উত্তরপ্রদেশের মানুষদেরও গরুপাচার ঘিরে যাতায়াত ছিল। অপরদিকে, বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক গরু পাচার চক্রের মাথা এনামূল হকের যোগাযোগ আরও পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারের মুর্শীদাবাদে একটা বাড়ি আছে, যেটা এনামূল বানিয়ে দিয়েছে। তাঁর ছেলেকে চাকরীও দেওয়া হয়েছে। এখানেই  উপহারের তালিকায় রয়েছে একটি গাড়িও। 

আরও পড়ুন, 'আমাকে বলেছিল, ধর ওকে রেপ করব', হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই-র কাছে এল ভয়াবহ তথ্য

আরও পড়ুন, যৌন সঙ্গমের পরেই কি খুন, বীরভূমের কীর্ণাহারে বিধবা মহিলার দেহ উদ্ধার

 ২০২০ সাল নাগাদ বিএসএফ কম্যাডান্ট সতীশকুমারকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ২০১৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাস ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কর্তব্যরত ছিলেন তিনি। অভিয়োগ এই সময় গরুপাচাকারীদের সঙ্গে যোগসাজশ ছিল এই সতীশের। এবার বিএসএফ কম্যাডান্ট সতীশকুমারকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে ইডি। উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পরেই বাংলাদেশে গরু পাচার রোধে বিএসএফকে বিশেষ করে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল মোদী সরকার। যার জেরে বাংলাদেশে অনেকটাই দাম বেড়েছে মাংসের। তবুও গরু পাচার বন্ধ করা যায়নি। কাদের মদতে এই পাচার কাণ্ড চলছে, তা জানতে কলকাতা-সহ সারা দেশেই  অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।গরুপাচার কাণ্ডে আরও অনেক তথ্য এবার হাতে লাগতে পারে অনুমান তদন্তকারীদের।