সংক্ষিপ্ত

বীরভূমের প্রভাবশালী অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা সহজ কথা নয়। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ অনুগত ও ঘনিষ্ঠ সহকর্মী। তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেষ্টা বলেই ডাকেন।  যাইহোক অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের জন্য একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল সিবিআই। 
 

গরুপাচারকাণ্ডে বৃহস্পতিবার সিবিআই গ্রেফতার করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে।  এর আগে তাঁকে প্রায় ১০ বার তলব করা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র একবারই হাজিরা দিয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি। বারবারই হাজিরা এড়িয়েগেছেন। সিবিআই কর্তাদের অভিযোগ ছিল তদন্ত সহযোগিতা করছেন অনুব্রত। আর সেই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু বীরভূমের প্রভাবশালী অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা সহজ কথা নয়। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ অনুগত ও ঘনিষ্ঠ সহকর্মী। তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেষ্টা বলেই ডাকেন।  যাইহোক অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের জন্য একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল সিবিআই। 

সোমবার অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু নিজাম প্যালেসের বদল অনুব্রত চলে যান এসএসকেএম হাসপাতালে। তাঁর আইনজীবী যদিও রাতেই সিবিআইকে মেল করে জানিয়ে দিয়েছিল তাঁর মক্কেল অসুস্থ আর সেই কারণেই তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না। কিন্তু সোমবার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি না নেওয়ায় অনুব্রত মণ্ডল নিজাম প্যালেসে না গিয়ে চলে গিয়েছিলেন চিনার পার্কের বাড়িতে। সেখানে কিছুক্ষণ থেকেই বীরভূমে নিজের এলাকায় ফিরে আসেন অনুব্রত।  কিন্তু হাল ছাড়েনি সিবিআই। সূত্রের খবর মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয় সিবিআই দফতরে। সেদিন মহরমের ছুটি থাকলেও অনুব্রত মণ্ডলের কেস যাঁরা তদরকি করছেন তারা সকলেই উপস্থিত ছিলেন। সেই দিনই তৈরি হয়েছিল গ্রেফতারির ছক।  সঙ্গে নেওয়া হয়েছিল আইনি পরামর্শও।  মঙ্গলবারের ম্যারাথন বৈঠকে নেওয়া হয়েছিল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। সেই দিনই নতুন করে নোটিশ পাঠান হয়েছিল অনুব্রতকে।  বুধবার হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল নেতাকে। অনুব্রতর কলকাতার বাড়ির পাশাপাশি বীরভূমের বাড়িতেও নোটিশ পাঠান হয়েছিল। 

সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন সিবিআই-এর অতিরিক্ত ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর। বাংলার একাধিক গুরুপূর্ণ মামলাগুলির হালহাকিকৎ সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন তিনি। পাশাপাশি তিনি মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশও দেন তিনি। তারপরই তৎপর হয় সিবিআই। 

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। দলে ছিল ১০ জন আধিকারিক। সূত্রের খবর বাড়ির ঠাকুর ঘর থেকেই নাকি গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল নেতাকে।  সিবিআই এর দাবি তদন্তে অসহযোগিতার জন্যই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। সরাসরি অ্যারেস্ট মেমোয় অনুব্রতকে দিয়েই সই করিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

তবে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করার পরেও যথেষ্ট তৎপর রয়েছে সিবিআই কর্তারা। তাঁরা বীরভূম থেকে সরাসরি কলকাতায় না এনে প্রথমে দুর্গাপর হয়ে আসানসোল ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যায় অনুব্রতকে। সেখানেই প্রথম স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় অনুব্রত। রাজ্য সরকারের অধীন কোনও হাসপাতালে নিয়ে না গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা হাসপাতালেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় অনুব্রত। যেমনটা হয়েছিল পার্থ আর অর্পিতার ক্ষেত্রে। 

আগেই থেকেই অসুস্থ বলে জানিয়েছিলেন অনুব্রত। তাই একটানা যাত্রা না করে দুর্গাপুর, কাঁকসার গেস্ট হাউসে কিছুক্ষণ বিশ্রায় দেওয়া হয় তৃণমূল নেতাকে। যাতে তাঁকে যাত্রার ধকল সহ্য করতে না হয়। অন্যদিকে আজই তৃণমূল নেতাকে আদালতে পেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে সিবিআই-এর। 

'ডিসেম্বরে পড়ে যাবে তৃণমূল সরকার, ২০২৪এ বিধানসভা ভোট রাজ্যে', শুভেন্দুর মন্তব্যে পাল্টা দিলেন চন্দ্রিমা
'মাফিয়া থেকে ধাপে ধাপে অনুব্রত মন্ডল হাজার কোটির মালিক কীভাবে' -প্রশ্ন তুলছে বিজেপি থেকে সিপিএম
গুরুতর অসুস্থ কিম জং উন, অসুস্থতার জন্য প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়াকে দায়ি করলেন তাঁর বোন