সংক্ষিপ্ত


ডিসেম্বর পর্যন্ত টিকবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাই ২০২৪ সালেই লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এই রাজ্যে। 

ডিসেম্বর পর্যন্ত টিকবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাই ২০২৪ সালেই লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এই রাজ্যে। মঙ্গলবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় অধিকারী বলেছিলেন যে রাজ্য থেকে টিএমসি সরকারকে অপসারণের জন্য মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'কয়েক মাস অপেক্ষা করুন। এই সরকার পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। আমার কথা তখন মানতে হবে।' তারপরই তিনি বলেন এই বছর ডিসেম্বরের মধ্যে টিএমসি সরকার পড়ে যাবে। ২০২৪ সালে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে, তেমনই দাবি করেছেন বিজেপি নেতা। 

গত কয়েক মাস ধরে, শুভেন্দু অধিকারী বারবার দাবি করেছেন যে ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান এবং পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে মহারাষ্ট্রের মতো পরিস্থিতি হবে। তার মন্তব্যগুলি তৃণমূলের মধ্য়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে, যা বিজেপিকে শিবসেনার বিদ্রোহের প্রকৌশলী এবং মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন সরকারকে পতনের জন্য অভিযুক্ত করেছে।

"যদি তিনি জিনিসগুলি পূর্বাভাস দিতে পারেন তবে কেন তিনি বিহারের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাগুলি ভবিষ্যদ্বাণী করতে এবং ঠেকাতে  পারেননি? মনে হচ্ছে রাজনীতিতে হতাশা থেকে তিনি জ্যোতিষশাস্ত্র অনুশীলন শুরু করেছেন," বলেছেন টিএমসির রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ "পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারকে পতনের জন্য বিজেপির যে কোনও প্রচেষ্টার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে," তিনি বলেছিলেন।

এদিনই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করলেন নীতিশ কুমার। পুরনো সঙ্গী লালু প্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গেই হাত মেলালেন। মঙ্গলবার বিকেলে রাজভবনে রিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। সেখান থেকেই আগামী রণনীতির কথা ঘোষণা করতে পারেন তিনি। 


২০১৫ সালে নীতিশ কুমার ও লালু প্রসাদ যাদবের দল একসঙ্গে লড়াই করে বিহারের ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু বেশিদিন একসঙ্গে থাকেনি। ২০১৭ সালে লালু প্রসাদের সঙ্গ ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেছিলেন নীতিশ। তার হাত ধরেই বিহারে বিজেপি উজ্জীবিত হয়েছিল। তবে ২০২০ সালে নির্বাচনে নীতিশ ও বিজেপি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটে লড়েছিল। কিন্তু সেবছর ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ট দল হয় রাষ্ট্রীয় জনতা দল। নেতৃত্বে ছিলেন মাত্র ৩২ বছরের তেজস্বী যাদব। তাঁরা পেয়েছিলেন ৭৫টি আসন। একটি আসন কম পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি আর ৪৩ আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে যায় নীতিশ কুমারের জেডিইউ। কংগ্রেসের দখলে ছিল ১৯টি আসন। 
'সাধারণ মানুষ হিসেবে বলছি...', বিহারের রাজনীতি নিয়ে মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর

বিহারে পাশা উল্টে গেল বিজেপির, জানুন নীতিশ-তেজস্বীর রাজনৈতিক সমীকরণ

স্বপ্নে যদি মৃত ব্যক্তি আসে... , এদকমই ভয় নেই- এটি শুভ লক্ষণ, রয়েছে একটা 'কিন্তু '