সংক্ষিপ্ত
বগটুই গণহত্যা এবং ভাদু শেখ খুনে হাইকোর্টে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
বগটুই গণহত্যা এবং ভাদু শেখ খুনে হাইকোর্টে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বগটুই গণহত্যা অভিযুক্ত ২ নাবালক জুভিনাইল আদালত থেকে জামিন পেয়েছে। তাঁদের জামিন খারিজের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন কেন্দ্রের অ্যা়সিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল বিল্বজল ভট্টাচার্য। এনিয়ে প্রধান বিচারপতি সিবিআই-কে নির্দেশ দেন, ২ নাবালক অভিযুক্তের জামিন খারিজের আবেদন নিম্ন আদালতে করতে।
উল্লেখ্য, এর আগে ৭ এপ্রিল বগটুই হত্যাকাণ্ডে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল সিবিআই। ওইদিন তাঁরা জানিয়েছিল, ভাদু শেখের খুনের সঙ্গে গণহত্যার সম্পর্ক রয়েছে। ভাদু শেখ খুনের ঘটনাতেও সিবিআই তদন্তের দাবি জানান মামলাকারীর আইনজীবীরা। রাজ্যের তরফে তখন বলা হয়, এই মামলার তদন্ত করছে পুলিশ। তাই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। তবে যেহেতু বগটুই গণহত্যা এবং ভাদু শেখ খুনের মাঝে যোগ সূত্র আছে পরে দুটি মামলার তদন্তের ভারই সিবিআই-কে দেয় হাইকোর্ট। দুটি ঘটনার তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর এদিন হাইকোর্টে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই।
আরও পড়ুন, '১৪ দিন আরও চাই', হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানাল সিবিআই
প্রসঙ্গত, ২১ মার্চ ঘটনার রাতে প্রায় ৮ টা নাগাদ বোম মেরে খুন করা হয়েছিল তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখকে। আর সেই ঘটনার ২০ মিনিটের মধ্যেই জ্বলতে শুরু করে বগটুই। এর আগে উত্তেজনা দেখা দিতেই অনেকেই অটো করে পালাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে উপ প্রধানকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরেই বগটুই গ্রাম জুড়ে শুরু হয় বোমাবাজি। বগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। একটি খুনের বদলায় প্রথমে শিশু -মহিলা সহ ৯ জনের আগুনে পুড়ে মৃত্য়ু হয়। আহত হন একাধিক।
আরও পড়ুন, নিজের রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে পারেন প্রশান্ত কিশোর, সাতসকালেই বড় ইঙ্গিত পিকে-র টুইটে
আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলে। তবে দীর্ঘ এক মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর রবিবার সকালে জীবন যুদ্ধে হার মানেন বগটুইকাণ্ডে আরও এক মহিলা। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এদিন সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। তাই মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে হয় এবার ১০। এদিকে বগটুই নিয়ে ফের মামলা উঠেছে হাইকোর্টে। নিয়ম না মেনেই বগটুইয়ের ঘটনার পর ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য সরকার। চাকরি দিয়ে আদতে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। পুরো বিষয়টাই বেআইনি। এমনই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। মামলার প্রেক্ষিতে বগটুইকাণ্ডে রাজ্য়ের তরফ থেকে হলফনামা তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।আর্থিক সাহায্য এবং চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া ঠিক কী ছিল, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ। রাজ্যকে ওই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন, ইদ উপলক্ষে 'দুয়ারে বিরিয়ানি থেকে কাবাব', এই হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে যোগাযোগ করলেই খাবার পাঠাবে রাজ্য