সংক্ষিপ্ত
হুগলির চন্দননগরে একটি গোল্ড লোন সংস্থায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়়ো হয়েছিল ৬-৭ জন দুষ্কৃতী। চন্দননগরে গঞ্জের বাজারে ছিল গোল্ড লোন সংস্থার অফিস।
ডাকাতির ছক বানচাল করে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে এই ঘটনা খুব একটা সহজ ছিল ছিল না। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে রীতিমত খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় পুলিশের। একজনকে হাতে নাতে ধরলেই বাকিরা শূন্য গুলি চালাতে চালাতে পালিয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
হুগলির চন্দননগরে একটি গোল্ড লোন সংস্থায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়়ো হয়েছিল ৬-৭ জন দুষ্কৃতী। চন্দননগরে গঞ্জের বাজারে ছিল গোল্ড লোন সংস্থার অফিস। সেখানেই হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। উদ্দেশ্য ছিল দুপুরের নির্জনে সংস্থার অফিসে ঢুকে ডাকাতি করা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল চন্দননগর থানার পুলিশ। সেইসময় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। দুই পক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। সেই সময় একজনকে পাকড়াও করে পুলিশ। তিন তলা বিল্ডিংএর দোতলায় ছিল সংস্থার অফিস। এক দুষ্কৃতী ছাদ থেকে লাফ মারে। এক পথচারীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বাইক নিয়ে চম্পট দেয়। কিন্তু গোটা এলাকা ঘুরে ফেলে পুলিশ। নাকা চেকিং-এর ব্যবস্থাও করা হয়ে। তারপরই আরও দুজনকে গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাবাদের দিন হাজিরা না দিয়ে বিউটি পার্লারে রুজিরা, EDর চাঞ্চল্যকর দাবি দিল্লি আদালতে
রাজ্য বিজেপির সঙ্গে আলোচনা করলে ভালো হত, সুকান্ত মজুমদার ইস্যুতে সাফ কথা বিজেপি বিধায়কের
চন্দননগর এলাকাবাসী দের কাছে এ এক নতুন অভিজ্ঞতা। এযেন হিন্দি সিনেমা শ্যুটআউট লোখান্দাওয়ালা। মঙ্গলবার নির্জন দুপুরে চন্দননগর গঞ্জের বাজারে জিটি রোডের ওপর অবস্থিত একটি গোল্ড লোন সংস্থার অফিসে সশস্ত্র অবস্থায় কয়েকজন দুস্কৃতি ঢোকে। ঢুকেই তারা আর্মস ঠেকিয়ে ওই সংস্থার কর্মচারীদের মারধর করে ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করে। তখন দুপুর আড়াইটে। এমনিতেই মঙ্গলবার গঞ্জের বাজার বন্ধ থাকে। সেই খবর আগে থেকেই জানা ছিল দুষ্কৃতীদের। খবর পৌছাতে বেশি দেরি লাগেনি পুলিশের কাছে । 500 মিটার দূরে থানা। পুলিশের বিশাল বাহিনী ঘিরে নিয়ে আর্মস উঁচিয়ে ওই লোন সংস্থায় যায়।
পুলিশ-দুষ্কৃতীদের মধ্যে গুলির লড়াই দেখতে রাস্তার দুপাশে লোক জড়ো হয়ে যায়। পুলিশের বড় কর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। রাস্তারধার থেকে একটি মারুতি ভ্যান, দুটি পালসার বাইক আটক করা হয়েছে। ভেতর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি কালো রুকশাক। ওই লোন সংস্থার উল্টোদিকে ফুটপাতে জুতো সেলাই করেন ভোলা দে। তিনি জানান, প্রায় তিনটে নাগাদ এই ঘটনা ঘটে । বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলেছে। সে এক লোমহর্ষক দৃশ্য। দেখতে পাই কয়েক জন গুলি চালাতে চালাতে পালাচ্ছে পেছনে ধাওয়া করেছে পুলিশ। তারাও গুলি চালাচ্চে। দেখে আমি পালিয়ে যাই। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকঘন্টা জিটি রোড বন্ধ ছিল। ডিসি চন্দননগর ভিডিত রাজ বুন্দেশ জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে।