সংক্ষিপ্ত
দিল্লি হাইকোর্টে ইডি দাবি করেছে তাদের হাতে তথ্য প্রমাণ রয়েছে যেদিন অভিষেক আর রুজিরাকে ডাকা হয়েছিল সেদিন রুজিরা ছিলেন দিল্লিরই একটি বিউটি পার্লারে।
তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সমন মামলায় ইনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টর (ED) দাবিতে কিছুটা হলেও ধাক্কা খেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা (Rujira)। কারণ এদিন দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) ইডি দাবি করেছে তাদের হাতে তথ্য প্রমাণ রয়েছে যেদিন অভিষেক আর রুজিরাকে ডাকা হয়েছিল সেদিন রুজিরা ছিলেন দিল্লিরই একটি বিউটি পার্লারে। যদিও রুজিরা জানিয়েছিলেন তিনি পাটনায় ছিলেন।
ইডির এই দাবির বিরোধিতা করে পাল্টা দাবি করেছেন অভিষেকের স্ত্রী রুজিরার আইনজীবী। তিনি বলেছিলেন তাঁর মক্কেল দিল্লির একটি বিউটি পার্লারে গিয়েছিলেন- এটা ঠিক। কিন্তু দিনটি এক নয়। যেদিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি ডেকে পাঠিয়েছিল সেদিন তিনি দিল্লিতে ছিলেন না। তারপরই ইডির দাবি খারিজ করে দেয় আদালত। তেমনই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
EDর কয়লা কেলেঙ্কারি সমন মামলা, TMC নেতা অভিষেক-রুজিরাকে রক্ষাকবচ দিল না দিল্লি হাইকোর্ট
আদানিদের বন্দরে উদ্ধার ২০ হাজার কোটি টাকার মাদক, তাই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া যুদ্ধ শুরু
রাজ্য বিজেপির সঙ্গে আলোচনা করলে ভালো হত, সুকান্ত মজুমদার ইস্যুতে সাফ কথা বিজেপি বিধায়কের
এই রাজ্যের একটি কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরার নাম জড়িয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নেমেছে ইডি। কিন্তু ইডি তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে ডেকে পাঠাচ্ছে। যা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন দম্পতি। যদিও রুজিরা ইডিকে জানিয়েছিলেন করোনা কালে সন্তানদের ছেড়ে তাঁর পক্ষে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয়। তদন্তকারীরা চাইলে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। সমন বাতিল করার দাবিতে তাঁরা দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। এই মামলা উঠেছিল বিচারপতি যোগেশ খান্নার এজলাসে। কিন্তু দিল্লি আদালতে অভিষেক ও তাঁর স্ত্রীকে রক্ষাকবচ দেয়নি। পরবর্তী শুাননির দিন ধার্য করা হয়েছে ২৭ সেপ্টেম্পবর। এই শুনানির ঠিক তিন দিন পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিসি তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে।
যদিও ইডির প্রতিনিধি ইতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল এসভি রাজু জানিয়েছেন তাঁদের কাছে তথ্য প্রমাণ রয়েছে যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে যেদিন ডাকা হয়েছিল সেদিন তিনি দিল্লিতেই ছিলেন। কিন্তু তিনি ইডিকে সেদিন জানিয়েছিলেন ওই দিন তিনি দিল্লিতে আসতে পারবেন না। রুজিরা যে পার্লারে ছিলেন তার সমস্ত তথ্য প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে বলেও দাবি করেছেন এসভি রাজু। কিন্তু এদিন আদালতে কোনও তারিখ উল্লেখ না করে রুজিরা দাবি করেছেন তিনি দিল্লিতে ছিলেন না।অতিরিক্ট সলিসিটার জেনারেলের প্রশ্ন রুজিরা যদি পার্লারে আসতে পারেন তাহলে তিনি কেন ইডির অফিসে আসতে পারবেন না। তারপরই কিছুটা কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, বিউটি পার্লারের মত পরিষেবা তাঁদের অফিসে নেই বলে?
যদিও বিষয়টি আদালতে তোলায় আপত্তি জানান সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিবাল। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে এজাতীয় যুক্তি প্রত্যাশিত হয়। রুজিরা অন্য কোনও সময় দিল্লিতে ছিলেন ছিলেন। কিন্তু যেদিন তাঁকে তলব করা হয়েছিল সেদিন তিনি দিল্লিতে ছিলেন না। আদদালতের সামনে বাইরের বিষয় উত্থাপন করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।