সংক্ষিপ্ত
শিশুকন্যাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে মাসি ও তাঁর বন্ধুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কলকাতার আরজিকরে চিকিৎসধীন বছর ১১-র ওই শিশুকন্যা।
শিশুকন্যাকে অপহরণ করে ধর্ষণের (Rape Case) অভিযোগে মাসি ও তাঁর বন্ধুকে গ্রেফতার করল পুলিশ (Basirhat Police)। এই ঘটনা থ্রিলার সিনেমার নৃশংসতাকেও যেনও হার মানল। দিদির মেয়েকে অপহরণ করে মোবাইল ও টাকা পূর্ব পরিচিত বন্ধু কাছে দেওয়ার নামে ফাঁদ। ১১ বছরের শিশুকন্যাকে অপহরণ করে বছর ২৩-র মাসি রোজিনা বিবি, ও তাঁর বন্ধু বছর ২০-র সহর আলী সরদার ওরফে সাগর। মোবাইলে টাকা পৌঁছে দেওয়ার নাম করে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে খোদ নিজের মাসি রোজিনা। তারপর বন্ধু কাছে রাতে পৌঁছে দিয়ে সে। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটে মহাকুমার মাটিয়া থানার বিবেকনগর কুলতলা ব্রিজ এর ঘটনা ।
আরজিকরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসধীন
জানা গিয়েছে, ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার ১১ বছরের শিশুকন্যা রাত্রিবেলায় নিখোঁজ হয়ে যায়। তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। বাবা খুদু মন্ডল পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান। সারারাত নিজের আত্মীয় অন্যত্র খোঁজ করার পর, খুঁজে পাওয়া যায় না। এরপর মাটিয়া থানা অপহরণের অভিযোগ করেন। শুক্রবার বিকেল বেলা মাটিয়ার বিবেকনগর কুলতলা ব্রিজ কাছে ঐ শিশুকন্যার অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপর মাটিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে প্রথমে ধান্যকুড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর অবস্থা অবনতি হলে তারপর কলকাতার আরজিকরে নিয়ে যাওয়া হয়। ইতিমধ্যেই তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন, 'বীরভূমের জেলা পুলিশ আধিকারিকদের কললিস্টও চেক করা উচিত সিবিআইয়ের', বিস্ফোরক সুকান্ত
নিজের মাসি ও তার বন্ধু এই পরিকল্পনায় ছাত্রীকে ধর্ষণ
এই ঘটনা তদন্তে পুলিশ চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় এই শিশুকন্যার নিজের মাসি ও তার বন্ধু এই পরিকল্পনায় শিশু কন্যা ধর্ষিত হয়। ইতিমধ্যে প্রথমে নির্যাতিত শিশুকন্যার বাবা অপহরণের অভিযোগ করে থানায়। তারপর শিশুকন্যা মেডিকেল পরীক্ষা করে জানা যায় সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এরপর ধর্ষণের অভিযোগ এই অভিযোগের ভিত্তিতে মাসি রোজিনা বিবি ও তার বন্ধু সহর আলী সরদার ওরফে সাগরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃত দুজনকেই বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
বিরিয়ানির লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ধর্ষণ সহ একাধিক শিশু নিগ্রহের ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মা-বাবারা। এর মধ্যে ঘটে যাওয়া অন্যতম নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল জোড়াবাগানকাণ্ডে। জোড়াবাগানে ৯ বছরের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন চালিয়ে ঠান্ডা মাথাতেই খুন করে কেয়ারটেকার। ময়নাতদন্তে রিপোর্টে উঠে আসে, নির্যাতিতার শরীর থেকে বিরিয়ানি ও চিপসের খাদ্যবশেষ পাওয়া গিয়েছে। অনুমান, বিরিয়ানি এবং চিপসের লোভ দেখিয়ে মাদক মিশিয়ে খাওয়ানো হয় নাবালিকাকে। এর পরই অচৈতন্য করা হয় তাকে। এখানেই শেষ নয়, কেয়ারটেকারের মোবাইলে পর্ণোগ্রাফিও পাওয়া গিয়েছে। এবং ওই কেয়ার টেকার মদ্যপ অবস্থায় পর্ণোগ্রাফি দেখে তারপরই উত্তেজিত অবস্থায় নাবালিকাকে ছাদে নিয়ে যায়। যদিও ওই কেয়ারটেকার এই খুনের ঘটনায় অপরাধ কবুল করে নিয়েছে।