সংক্ষিপ্ত
দিলীপ ঘোষ রাস্তায় বসে পড়েন মিছিল আটকানোর প্রতিবাদে। কোচবিহারে বিএসএফের গুলি চালানো নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহের বিরোধিতা করাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ।
পেট্রোল ও ডিজেলের (Fuel prices) দাম কমানোর (reduction in Fuel prices) দাবিতে বিজেপির (BJP) মিছিলে ধুন্ধুমার (Clash) বর্ধমানে। শুক্রবার দুপুরে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) নেতৃত্বে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। তেলের দাম কমানোর দাবিতে বর্ধমানের বীরহাটা মোড় থেকে মিছিল যাওয়ার কথা ছিল কার্জন গেট পর্যন্ত। কিন্তু মিছিল শুরু হওয়ার আগেই পুলিশ বিজেপির মিছিল আটকে দেয়।
সকাল থেকেই জিটি রোডের বীরহাটা মোড়ে একটি রাস্তা আটকে পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। মিছিল আটকে দিলে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। এই নিয়ে পুলিশ ও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ চরম ধস্তাধস্তি চলে। এরপর দিলীপ ঘোষ রাস্তায় বসে পড়েন মিছিল আটকানোর প্রতিবাদে। কোচবিহারে বিএসএফের গুলি চালানো নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহের বিরোধিতা করাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ।
তিনি বলেন, "দু'জন বাংলাদেশী মারা গেছে তো ওনার কি হচ্ছে। গরু পাচারকারীকে মারা গেলে দুঃখ হচ্ছে। আসলে এরাই তো তৃণমূলকে ভোট দেয়। ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ভোটে জিতেছেন। বাংলাদেশীরা জিতিয়েছে তৃণমূলকে। তার এত বিরোধিতা। চোরাচালানকারী, বাংলাদেশী, রোহিঙ্গাদের আটকানোর জন্য বিএসএফ আছে সীমান্তে। এতে উদয়ন গুহের আপত্তি কিসের। এতেই তো বোঝা যাচ্ছে কারা তৃণমূলের ভোটার। এরাই শীতলকুচিতে ঝামেলা করেছিল। বিএসএফের তো এটা কাজ, অন্যদেশ থেকে এদেশে কেউ ঢুকলে তাকে আটকানো।"
অন্যদিকে তিনি কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকে এক হাত নেন। দিলীপ ঘোষ বলেন অধীর চৌধুরী জানেন না যখন ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন পঞ্জাব ও রাজস্থানে বিএসএফের এলাকা বাড়ানো হয়েছিল। অন্যদিকে রেশন নিয়েও রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, কেন্দ্র তো এতদিন বিনামূল্যে রেশন দিয়েছে। এবার রাজ্য সরকার বিনামূল্যে রেশন দিক। শুক্রবারের মিছিলে দিলীপ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা।
এদিকে শুক্রবার সকালেনিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণের সময় দিলীপ ঘোষ ফের তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন বিজেপিই মহিলাদের সম্মান দেয়। তৃণমূলে তো একজনই পুরুষ রয়েছেন, বাকি সব মহিলা।" আর তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের একজন পুরুষ বলতে যে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বুঝিয়ে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে এই মন্তব্যকে প্রশংসা হিসেবেই নিয়েছে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। কারণ তাদের মতে, কটাক্ষ করতে গিয়ে আদতে তৃণমূল সুপ্রিমোর শক্তিকে স্বীকার করে নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
"