সংক্ষিপ্ত

মালদার বাসিন্দা সায়ন্তিকা দাস। সায়ন্তিকার ইচ্ছে ছিল সাইকেলে করেই ৩৫০ কিলোমিটার অতিক্রম করে মালদা থেকে কালীঘাটে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানাবে।

কন্যাশ্রী ও সবুজসাথীর মত জনকল্যাণ প্রকল্পের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানাতে সুদূর মালদা থেকে কলকাতায় এল দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ক্ষুদে পড়ুয়া। বছর আটের ছাত্রী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে দিয়ে দেখা করে। দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সায়ন্তিকা দাস গৌড় এক্সপ্রেসে করে  মালদা থেকে শিয়ালদায় আসে। শিয়ালদা স্টেশন থেকে একটি সাইকেলে করে রওনা দেয় কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির উদ্দেশ্যে। ছাত্রী মুখ্যমন্ত্রীর জন্য একাধিক উপহারও নিয়েছিল। সঙ্গে ছিল তার বাবা ও মা। 

মালদার বাসিন্দা সায়ন্তিকা দাস। সায়ন্তিকার ইচ্ছে ছিল সাইকেলে করেই ৩৫০ কিলোমিটার অতিক্রম করে মালদা থেকে কালীঘাটে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানাবে। কিন্তু এতদূরের রাস্তা ছোট্ট একটি মেয়ের পক্ষে সাইকেলে পাড়ি দেওয়া খুবই কঠিন। তাই স্থানীয় কর্মকর্তারা  সায়ন্তিকা ও তার বাবা মাকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে মত পরবর্তন করতে বাধ্য করে। শেষপর্যন্ত দাস পরেবার ট্রেনেই রওনা দেয় মালদা থেকে। কিন্তু শিয়ালদায় নেমে ছোট্ট মেয়ে সায়ন্তিকা সাইকেলেই রওনা দেয় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির উদ্দেশ্যে। তার সঙ্গে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর জন্য মালদা থেকে আনা আম ও আমের নানান পদ। 

সায়ন্তিকা জানিয়েছে, সে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পেরেই খুশি হয়েছে। সে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই কন্যাশ্রী ও  সবুজ সাথীর মত প্রকল্পের সুবিধে এই রাজ্যের পড়ুয়ারা পাচ্ছে বলেও জানিয়েছে। সায়ন্তিকা আরও বলেছে, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য রাজ্যের ছাত্রীরা বিশেষভাবে উপকৃত হচ্ছে। সেই জন্যই সে মুখ্যমন্ত্রীকে একবার চোখের দেখা দেখতে চেয়েছিল। আগামী দিনে সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। 

সায়ন্তিকা আরও জানিয়েছে তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো নয়। আর সেই কারণেই সরকারির প্রকল্পের সুবিধে পেয়ে উচ্চশিক্ষায় তার ও তাঁর বোনেদের অনেকটাই সুবিধে হচ্ছে। সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেলগুলিও তাদের পরিবারের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সায়ন্তিকা আরও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে বই মিষ্টি আর চকলেট উপহার হিসেবে দিয়েছেন। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষুদে পড়ুয়ার সঙ্গে দেখা করতে পেরে রীতিমত খুশি হয়েছেন। একটি ফেসবুক পোস্টে তেমনই জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন মালদা থেকে সায়ন্তিকার সঙ্গে দেখা করতে পেরে তিনি আনন্দিত। সে তার বাবা ও মায়ের সঙ্গে এসেছিল। তিনি আরও বলেছেন তার দিদিরা সরকারি প্রকল্পের সুবিধে পাচ্ছে। সেইজন্য তারা রীতিমত উপকৃত হচ্ছে । আগামী দিনে এরাই বাংলাকে অনেক উঁচুতে নিয়ে যাবে। তাই ছোটদের প্রথম থেকেই যত্ন করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকেই সায়ন্তিকা-মমতার সাক্ষাৎকারের কথা জানান হয়েছে। বলা হয়েছে সায়ন্তিকা প্রথমে সাইকেল চালিয়ে মালদা থেকে কলকাতায় আসার পরিকল্পনা করেছিল। এটা জানতে পেরেই তাঁরা যোগাযোগ করেন। সাইকেল করে আসতে নিষেধ করেন। তারপর দাস পরিবার ট্রেনে করে আসে।