সংক্ষিপ্ত
শনিবার পুরুলিয়া জেলা আদালতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থার্ড কোটে গোপন জবান বন্দি দেন তিনি। কোর্ট থেকে বেরিয়ে আসার পর পূর্ণিমা কান্দু গোপন জবান বন্দির কথা স্বীকার করলেও ঠিক কি কথা হয়েছে সে বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিস্তারিত করে বলতে রাজি হননি।
পুরুলিয়ায় কাউন্সিলর খুনে (Councilor murdered in Purulia) গত কয়েকদিন ধরেই গোটা রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছিল রাজনৈতিক তরজা। অবশেষে ঝালদা পৌরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলার হত্যার ৭ দিন পর গোপন জবানবন্দি দিলেন তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। শনিবার পুরুলিয়া জেলা আদালতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থার্ড কোটে গোপন জবান বন্দি দেন তিনি। কোর্ট থেকে বেরিয়ে আসার পর পূর্ণিমা কান্দু গোপন জবান বন্দির কথা স্বীকার করলেও ঠিক কি কথা হয়েছে সে বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিস্তারিত করে বলতে রাজি হননি। এই বিষয়ে পুলিশি নিষেধাজ্ঞাই প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। তপন কান্দুর হত্যার ঘটনার তদন্ত যতই এগোচ্ছে ততোই নানান রহস্য সামনে আসছে।
গতকাল শুক্রবার তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দুর(Tapan Kandu's nephew Mithun Kandu) মোবাইল ফোন সিজ করেছে ঝালদা থানার পুলিশ। এই মোবাইল ফোনেই ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের সাথে কথোপকথনের অডিও রেকর্ড রয়েছে বলে জানিয়েছেন মিঠুন কান্দু। ইতিমধ্যে এই অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। আজকে আবার তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু ঝালদা থেকে এসে পুরুলিয়া জেলা আদালতের বিচারকের কাছে দিলেন গোপন জবানবন্দি। তা নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা চলছে পুরুলিয়ার রাজনৈতিক মহলে। ঝালদার ঘটনায় ঝালদা থানার আই সি সঞ্জীব ঘোষ সহ মোট ৬ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন তপন কান্দর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু।
আরও পড়ুন- কাউন্সিলর খুনে শোকস্তব্ধ গোটা শহর, রঙের উৎসবে বেরঙীন পুরুলিয়ার ঝালদা
আরও পড়ুন- বয়সকালে স্মৃতিভ্রমের কারণে জটিল ব্যাধি সারাবে এই ওষুধ, নয়া গবেষণা ঘিরে বাড়ছে আশার আলো
আরও পড়ুন- দোলে ‘রঙ রুটে’ যাদবপুর, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে দানা বাঁধছে বিতর্ক
এখনও পর্যন্ত পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তখন কান্দুর ভাইপো ঝালদা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা ঝালদা শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দীপক কান্দুকে। তার ১৪দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন পুরুলিয়া জেলা আদালতের বিচারক। ঘটনার তদন্ত ভার নিয়েছে সিআইডি। গঠিত হয়েছে সিট। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী খুনির স্কেচ প্রকাশ করেছে পুরুলিয়া পুলিশ। তবে এখনও সেই খুনি অধরা। অন্যদিকে অভিযোগপত্রে ৬ জনের নাম থাকলেও এখনও গ্রেফতারের সংখ্যা মাত্র ১ জন। গত ১৩ ই মার্চ সন্ধ্যেবেলা হাঁটতে বেরিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন ঝালদা পৌরসভার ২ নাম্বার ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দু। ঘটনার পরেই তপন কান্দুর দাদা নরেন কাদু এবং ভাইপো দীপক কান্দুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় ঝালদা থানার পুলিশ।অবশেষে ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন দীপক কান্দু। যা নিয়ো জলঘোলা হয় বিস্তর।
আরও পড়ুন- টক্করে বাবুল সুপ্রিয়, অভিজাত বালিগঞ্জে বামেদের তুরুপের তাস ফুয়াদ হালিম স্ত্রী