সংক্ষিপ্ত

বালুরঘাটে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ আদালতের। তবে এখনো কী কারণে খুন তা পরিষ্কার নয়। কারণ যখন প্রতুল বর্মন খুন হয় একাধিক তথ্য সামনে এসেছিল পুলিশের কাছে।

বালুরঘাটে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ আদালতের। তবে এখনো কী কারণে খুন তা পরিষ্কার নয়। কারণ যখন প্রতুল বর্মন খুন হয় একাধিক তথ্য সামনে এসেছিল পুলিশের কাছে।এদিকে সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে শ্যামল বর্মন নামে এই ঘটনায় ধৃত এক ব্যক্তিকে বেকসুর খালাস করে বিচারক।

বালুরঘাটের তৃণমূল নেতা প্রতুল বর্মন খুনের ঘটনায় দু'জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেও বালুরঘাট জেলা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক বিচারক। অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ দাস ও পরেন বর্মনকে যাবতজীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে বিচারক। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় ফাস্ট ট্রাক কোর্টের বিচারক অখিলেশ পান্ডে। এদিকে সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে শ্যামল বর্মন নামে এই ঘটনায় ধৃত এক ব্যক্তিকে বেকসুর খালাস করে বিচারক। বৃহস্পতিবার বিকেলে বালুরঘাটে সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন বালুরঘাট জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন, সৎবাবার যৌন লালসার শিকার মেয়ে, সহ্য করতে না পেরে স্বামীকে 'গলা টিপে' খুন করল মা

জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার তৃণমূল নেতা প্রতুল বর্মন নিখোঁজ হয়ে যান। ঘটনায় পরদিন বালুরঘাট থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করতে আসেন স্ত্রী শিপ্রা সরকার বর্মন। থানায় এসে জানতে পারেন ভাটপাড়ার তালডাঙ্গা সীমান্তবর্তী এলাকায় মাঠ থেকে এক ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে। এরপর শিপ্রাদেবী স্বামীর মৃতদেহটি শনাক্ত করেন। বালুরঘাট থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন স্ত্রী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শ্যামল বর্মন, প্রসেনজিৎ মন্ডল ও পরেন বর্মনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং মামলা শুরু করে। গতকালই বিচারক অভিযুক্ত ৩ জনের মধ্যে ২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং আজ তার রায় ঘোষণা করেন বিচারক। 

আরও পড়ুন, মাটিয়া ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে রাজ্যে পুলিশে আস্থা, কেস ডাইরি ও রিপোর্ট জমার নির্দেশ হাইকোর্টের

তবে এখনো কী কারণে খুন তা পরিষ্কার নয়। কারণ যখন প্রতুল বর্মন খুন হয় একাধিক তথ্য সামনে এসেছিল পুলিশের কাছে। মেয়ে ঘটিত, টাকা সংক্রান্ত বা পুরনো শত্রুতার বিষয়েরের জন্য খুন বলেই অনুমান ছিল পুলিশের। যদিও পরে টাকার জন্য খুন বলা হয় মৃতের পরিবারের তরফে। এদিকে ঘটনার প্রায় ৫ বছর পর অভিযুক্তরা সাজা পাওয়ায় খুশি পরিবারের সদস্যরা।এনিয়ে বালুরঘাটে সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী বলেন, ২০১৭ সালে খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যার মধ্যে দু'জনকে গতকাল ৩০২ ধারা বা খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক এবং আজ দু'জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন বিচারক। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।