সংক্ষিপ্ত
- মেয়ের প্রেমিককে পছন্দ ছিল না মায়ের
- বার বার বিয়েতে আপত্তি করছিলেন শিক্ষিকা মা
- মাকে খুনের অভিযোগ উঠল দুই মেয়ের বিরুদ্ধে
- যার জেরে গণধোলাই খেল মেয়েরা
মেয়ের প্রেমিককে পছন্দ ছিল না মায়ের। বার বার বিয়েতে আপত্তি করছিলেন শিক্ষিকা মা। তাই শেষমেশ প্রেমিকের সাহায্য়ে মাকে খুনের অভিযোগ উঠল দুই মেয়ের বিরুদ্ধে। যার জেরে গণধোলাই খেল মেয়েরা। শেষে পুলিশ এসে উদ্ধার করে শিক্ষিকার দুই মেয়েকে। ঘটনাটি ঘটেছে, রায়গঞ্জের গোয়ালপাড়ার পাঁচ পুকুর এলাকায়।
সূত্রের খবর, নিহত শিক্ষিকা কল্পনা দে রায়গঞ্জের দেবীনগর রামকৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা। পূর্ব কলেজপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষিকার বড় মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে একটি ছেলের। বহুদিন ধরেই বিয়ের জন্য চাপাচাপি করছিল মেয়ের প্রেমিক। কিন্তু বাদ সাধছিলেন মা। এখানেই শেষ নয়, বড় মেয়ের বন্ধু বান্ধবদের বাড়িতে আসাও পছন্দ করতেন না কল্পনাদেবী। যা রাগের কারণ ছিল বড় মেয়ের। অভিযোগ, এই নিয়ে প্রায়শই মায়ের সঙ্গে ঝামেলা হত মেয়ের।
অভিযোগ শুক্রবার চরমে ওঠে মা-মেয়ের বাগবিতণ্ডা। যার জেরে প্রেমিকের পড়ামর্শে মায়ের মাথায় শিলনোড়া দিয়ে আঘাত করে মেয়ে। পরে প্রেমিকের বাইকে করে বস্তায় পুকুর ফেলে আসা হয় ক্ষতবিক্ষত দেহ। শনিবার পুকুর থেকে মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হতেই আগুনে ঘি পড়ে। মাকে খুন করার অভিযোগে দুই মেয়েকে বাড়িতে ঢুকে গণধোলাই দেয় প্রতিবেশীরা। দুই মেয়ের মধ্য়ে একজন নাবালিকাও রয়েছে। পরে পুলিশ এসে দুই মেয়েকে উদ্ধার করে। ইতিমধ্যেই খুনের তদন্তে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তবে এই খুনের ছোট মেয়ের হাত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।