সংক্ষিপ্ত
ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন হাওড়ার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়রের পুত্রবধূ এবং এক জন ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকও। আজ ধৃতদের হাওড়া আদালতে তোলা করা হয়। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
দিনের পর দিন হোমে (Home) শিশুদের (Child) উপর যৌন নিগ্রহ (Sexual Harassment) চালানোর অভিযোগে হোমের মালিক সহ ১০ জনকে গ্রেফতার (Arrest) করল পুলিশ। এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) সালকিয়ার (Salkia) শ্রীরাম ঢং রোডের একটি সরকার অনুমোদিত হোমে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন হাওড়ার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়রের (Ex Howrah deputy mayor) পুত্রবধূ এবং এক জন ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকও। আজ ধৃতদের হাওড়া আদালতে (Howrah Court) তোলা করা হয়। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, হাওড়া পুরসভার তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র মিনতি অধিকারীর (Minati Adhikari) পুত্রবধূ সালকিয়ার শ্রী রাম ঢং রোডে গত পাঁচ বছর ধরে একটি বেসরকারি হোম চালাচ্ছিলেন। ওই হোমে বিভিন্ন জায়গা থেকে শিশুদের এনে রাখা হত। 'করুণা পশ্চিমবঙ্গ উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি' নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অধীনে ওই হোমটি পরিচালনা করতেন প্রাক্তন ডেপুটি মেয়রের পুত্রবধূ গীতশ্রী অধিকারী। পাশাপাশি ওই হোমে ক্রেডেল বেবি রিসেপশন সেন্টার (Cradle Baby Centre) তৈরি করা হয়েছিল। আর তার মাধ্যমেই শিশু দত্তক দেওয়া হত। সেখানেও একাধিক কারচুপি হত বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন- 'গোয়া ছেড়ে নিজের রাজ্যের দিকে দেখুন', খেজুরিতে ধর্ষণের ঘটনায় মমতাকে কটাক্ষ অগ্নিমিত্রার
আরও পড়ন- হাত বেঁধে নিয়ে কলকাতার রাস্তা দিয়ে ছুটছিল বাইক, পুলিশ ধরতেই কান্না ২ কিশোরীর
সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই এই হোম নিয়ে নবান্নে এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, ওই হোমে শিশুদের উপর যৌন নিগ্রহ করা হয়। আর এই অভিযোগ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এরপর গতকাল হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে মহিলা থানার পুলিশ ওই হোমে অভিযান চালায়। তখনই ওই হোমের মালিক সহ আরও ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন দেবকুমার ভট্টাচার্য নামে এক ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকও। সমাজকল্যাণ দফতরের আধিকারিক তিনি। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পর হোম থেকে শিশুদের নিরাপদে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। এই মুহূর্তে নিরাপদ স্থানে রয়েছে তারা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মহিলা থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় মিনতি অধিকারীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন- কৃষি আইন বাতিলে খুশি নন্দীগ্রামবাসী, 'নীরব' থাকলেন শুভেন্দু
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সালকিয়ার ওই হোমের বিরুদ্ধে শিশুদের শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ জমা পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই হোম থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে শিশু দত্তক দেওয়া হয়। সেই সব অভিযোগের ভিত্তিতেই শুক্রবার তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর গীতশ্রী সহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেন আধিকারিকরা। সিল করে দেওয়া হয়েছে হোমটি।