সংক্ষিপ্ত
গুগলে দেড় কোটি টাকা বেতনের চাকরি পেলেন নদিয়ার দেবর্ষি মৈত্র। কিছুদিন আগেই গুগুলের তরফে ইমেল করে বিষয়টি জানানো হয় নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণির তরুণ দেবর্ষিকে। স্বাভাবিকভাবেই ছেলের এত বড় সাফল্যে আনন্দে আত্মহারা দেবর্ষির মা-বাবা।
গুগলে দেড় কোটি টাকা বেতনের চাকরি পেলেন নদিয়ার দেবর্ষি মৈত্র। কিছুদিন আগেই গুগুলের তরফে ইমেল করে বিষয়টি জানানো হয় নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণির তরুণ দেবর্ষিকে। স্বাভাবিকভাবেই ছেলের এত বড় সাফল্যে আনন্দে আত্মহারা দেবর্ষির মা-বাবা। ঘূর্ণির মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান দেবর্ষি। এলাকায় কৃতি ছাত্র হিসেবে পরিচয় তাঁর। কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল থেকে ২০১৬ সালে মাধ্যমিক পাশ করেন। ওই বিদ্যালয় থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর জয়েন্ট এন্টান্স দিয়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন। চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার পর নিজেই গুগুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন দেবর্ষি। অনলাইন পরীক্ষায় কয়েকধাপ এগোনোর পর চাকরি পাকা হয়ে যায় ঘূর্ণি এই মেধাবী ছাত্র দেবর্ষি মৈত্রের।
দেবর্ষির এই সাফল্যে নদিয়ার মৈত্র পরিবারে খুশির হাওয়া। দেবর্ষি বাবা বাদল মৈত্র আগে গৃহ শিক্ষকতা করতেন। তবে আর্থিক টানা পোড়েনের জেরে গ্রিলের দোকানও খোলেনও তিনি। ছেলে ছাড়াও এক মেয়ে রয়েছে তাঁর। বাদল মৈত্র জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই ছেলে ও মেয়ের মধ্য়ে তিনি সাফল্যের বীজ বুনে দিয়েছিলেন। এখন ওরা তারই ভালো ফল পাচ্ছে। সন্তানদের স্বপ্ন দেখানো মা-বাবারই কাজ। বাকিটা ওরা নিজেরাই সামলেছে। তবে এতদূর ও যাবে, এটা আশা করিনি। সন্তানের সাল্যে উচ্ছ্বসিত মা বকুলও। তিনি জানিয়েছেন, সন্তানের সাফল্যে যেকোনও মা-ই খুব খুশি হন। তবে ও এত দূরে থাকবে ভেবে একটু কষ্ট হচ্ছে।
আরও পড়ুন, আজ থেকে রোজ কলকাতা-ঢাকা, ফের চালু ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী-বন্ধন এক্সপ্রেস
গুগুলে বার্ষিক ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা বেতনের নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণির তরুণ দেবর্ষি মৈত্র। স্বপ্ন সার্থক করে তিনি এবার পাড়ি দেবেন সুদূর লন্ডনে। জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগর ঘূর্ণির দেবর্ষি রাধানগর চৈতন্য বিদ্যাপিঠ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করার পর কৃষ্ণনগর হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর কৃষ্ণ কলেজিয়েট স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়ার পর জয়েন্টে পাশ করে তারপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শেষ হলেও এখনও রেজাল্টও হাতে পাননি তিনি। এরই মধ্যে তিনি অসাধ্য সাধন করে ফেলেছেন তিনি। গত ২৫ তারিখ গুগল থেকে অফার লেটার আসে দেবর্ষির কাছে। তারপর থেকেই আনন্দের পরিবেশ। খবর পেয়ে প্রতিবেশিরা ভিড় জমাচ্ছেন বাড়িতে। ছেলের সাফল্য মা-বাবা তো খুশিই, গর্বিত গোটা নদিয়ার বাসিন্দারা।