সংক্ষিপ্ত
- এনআরসি আতঙ্কে এবার মৃত্যু আলিপুরদুয়ারে
- হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন এক প্রৌঢ়
- একমাস ধরে এনআরসি নিয়ে আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি
- পুরনো নথি খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি
৭১ সালের আগে নথিপত্র খুঁজে পাচ্ছিলেন না। ভোটার কার্ডে বাবার নামও ভুল ছিল। এনআরসি আতঙ্কে এবার আলিপুরদুয়ারে হৃদরোগে আক্রান্ত মারা গেলেন এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী।
মৃতের নাম সুলতান মিঞা। বাড়ি, আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের শালকুমারহাট ১ নম্বর পঞ্চায়েতের নতুনপাড়া গ্রামে। এলাকাটি জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের একেবারেই লাগোয়া। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, গত এক মাস ধরে এনআরসি আতঙ্কে ভুগছিলেন সুলতান। আতঙ্ক এতটাই ছিল, যে পুরনো নথিপত্র জোগাড় করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু, ৭১ সালের আগের বেশ কিছু নথিপত্র খুঁজে পাননি সুলতান মিঞা। ভোটার কার্ডে আবার বাবার নামও ভুল ছিল। এর আগে তা সংশোধনের কথা মাথায় আসেনি। ফলে আতঙ্ক আরও বেড়ে গিয়েছিল। সোমবার সন্ধ্যায় বাড়িতে স্নান করার সময়ে হৃদরোগে আক্রান্ত বছর ছাপান্নের ওই ব্যক্তি। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কোচবিহার জেলা হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সুলতান মিঞাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। রাতে গ্রামে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। খবর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে নতুনপাড়া গ্রামে যান আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অসমে এনআরএস-এর কারণে ডিটেনশন ক্যাম্পে চলে যেতে হয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষকে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে এ রাজ্যেও। প্রশাসনের আশ্বাসেও আতঙ্ক কাটছে না। বাংলার স্রেফ এনআরসি-র আতঙ্কে এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ১০। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বাংলাদেশও। পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হলে 'বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী'দের কোথায় রাখা হবে? সেই প্রশ্নও উঠেছে।