সংক্ষিপ্ত

  • সাপে কামড়ানোর পর ঝাড়ফুক
  • বরাতজোরে রক্ষা পেলেন মহিলা
  • শেষপর্যন্ত তাঁকে ভর্তি করা হল হাসপাতালে
  • মধ্যযুগীয় কুসংস্কার মুর্শিদাবাদে

'চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।' সাপে কামড়ানোর পর মহিলার শরীর থেকে 'বিষ ঝেড়ে ফেলতে' রাতভর চলল ঝাঁড়ফুক! নেহাতই বরাতজোরে প্রাণ বাঁচলেন তিনি। নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালেও। কুসংস্কারের আঁধার নামল মুর্শিদাবাদে।

আরও পড়ুন: ফের চোর সন্দেহে গণপিটুনি, মরণাপন্ন অবস্থায় ভিনরাজ্যের যুবককে উদ্ধার পুলিশের

স্থানীয় সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া লাগোয়া শ্রীপুর এলাকায় থাকে খুদু বিবি। রোজকার মতোই রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে শুয়ে পড়েছিলেন তিনি। তখন প্রায় মধ্যরাত। আচমকাই প্রবল চিৎকার শুনে ঘুমে যায় পরিবারের সদস্যদের। ঘরে গিয়ে দেখেন, মধ্যবয়সী ওই মহিলাকে সাপে কামড়েছে! বিষের জ্বালায় ছটফট করছেন তিনি। তারপর? হাসপাতালে নয়, খুদু বিবি-কে নিয়ে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরাই। এরপর নিজের 'কেরামতি' দেখাতে শুরু করে ওঝা। শরীর থেকে 'সাপের বিষ ঝেড়ে ফেলতে' রাতভর চলে ঝাঁড়ফুক। এমনকী, গুরুতর অসুস্থ ওই মহিলার চারপাশে জড়ো হন আরও বেশ কয়েকজন। কেউ মনে মনে মন্ত্রপাঠ করছেন, কেউ তাঁকে জল খাওয়াচ্ছেন, তো কেউ আবার শরীরে বোলাচ্ছেন লতাপাতা! কিন্তু অভাবে কি আর সাপের কামড় খাওয়া রোগীকে বাঁচানো যায়! ফলে যা হওয়ার, তাই হয়। ভোরের দিকে খুদু বিবির শারীরিক অবস্থা অবনতি হয় আরও।

আরও পড়ুন: সোমবার শীতের আমেজ রাজ্য জুড়ে, এক ধাক্কায় পারদ নামল অনেকটাই

শেষ পাওয়ায় খবর অনুযায়ী, খুদু বিবিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। প্রথমে কেন হাসপাতালে নিয়ে গেলেন না? পরিবারের লোকেদের বক্তব্য ছিল, 'আমাদের ডাক্তারের প্রয়োজন নেই।  ওঝা নজরুল শেখই শরীর থেকে বিষ ঝেড়ে ফেলবে!'