সংক্ষিপ্ত
- বোর্ড গঠন করতে লাগল ১৬ মাস
- বেশি আসন পেয়েও আটকে ছিল বোর্ড গঠন
- আদালতের নির্দেশেই বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া
- ২২ আসনের ১২টা পেয়েছিল বিজেপি
আগে সর্বাধিক আসন পাওয়া সত্ত্বেও বোর্ড গঠন করতে পারেনি বিজেপি । এবার সেই করিমপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করল গেরুয়া শিবির। ২২ আসন বিশিষ্ট করিমপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে গত ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বারোটি আসনে জয় পায় বিজেপি। আটটি আসন পায় শাসক দল তৃণমূল। বাকি দুটি আসন দখল করে নির্দল প্রার্থীরা ।
বিজেপির অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১২ টি আসন সত্ত্বেও তাদের বোর্ড গঠন করতে দেয়নি শাসক দল তৃণমূল। যদিও বিজেপির অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই বলে জানায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের মে মাসে নির্বাচন হয় ওই পঞ্চায়েতে। মাঝে কেটে যায় ১৬ মাস। বিজেপি বোর্ড গঠন করতে না পারায় সমস্যার সম্মুখীন হন ওই পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিক্ষোভও দেখায় ক্ষুব্ধ নাগরিকরা।
আরও পড়ুন :আমি খুন শুরু করলে বংশ লোপাট করে দেব, ফের বেফাঁস দিলীপ
আরও পড়ুন :ভারী বৃষ্টির আশা নেই, গরমের অস্বস্তি বাড়তে পারে কলকাতায়
সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার দেখা করেন জেলা শাসকের সঙ্গে। ওই পঞ্চায়েতে দ্রুত বোর্ড গঠনের দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পর্ণ করার আবেদন জানিয়ে উচ্চ আদালতে যায় বিজেপি। উচ্চ আদালত ছয় সপ্তাহের মধ্যে ওই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন পক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন কে। সেই মতো নির্দেশের তিন সপ্তাহের মাথায় এদিন বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে প্রশাসন। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার দুপুরে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তাদের উপস্থিতিতে, একেবারে নির্বিঘ্নে শেষ হয় বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। বিজেপির পক্ষে প্রধান ও উপ প্রধান নির্বাচিত হন যথাক্রমে, মনীষা মালাকার ও সোমা সাহা ভট্টাচার্য। এদিন করিমপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এর বোর্ড গঠন যাতে নির্বিঘ্নে শেষ হয়, তার জন্য পুলিশি নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো। বিজেপি জেলা সভাপতি (উত্তর) মহাদেব সরকার জানান, অবশেষে গণতন্ত্রের জয় হল।
আরও পড়ুন :জেএমবি জঙ্গি হওয়ার আগে কেমিক্য়াল ইঞ্জিনিয়ার ছিল ইজাজ
আরও পড়ুন :সিনেমা হলের মধ্যে বিশেষ ঘর, বনগাঁয় মধুচক্রের কারবার ফাঁস