সংক্ষিপ্ত
- ফারাক্কাতে না পেলেও এবার পেলেন হেলিকপ্টার
- মন্দিরের ইতিহাস মন দিয়ে শোনেন রাজ্যপাল
- গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগদান করবেন রাজ্যপাল
- নানা বিষয় খতিয়ে জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন
মুর্শিদাবাদে ঝটিকা সফরে বুধবার সস্ত্রীক এলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এদিন দুপুর নাগাদ হেলিকপ্টারে করে কলকাতা থেকে বহরমপুরের স্টেডিয়ামে তিনি প্রথম অবতরণ করেন। পরে সেখান থেকে সড়কপথে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে নবগ্রামে অবস্থিত দেবীর ৫১ পিঠের কিরীটেশ্বরী মন্দিরে হাজির হন।
আরও পড়ুন, 'সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে প্রাপ্য সম্মান দেয়নি রাজ্য সরকার', বিস্ফোরক অধীর
মন্দিরের প্রাচীন ইতিহাস ও সম্প্রীতির কথা মন দিয়ে শোনেন জগদীপ ধনকর
নবগ্রামে অবস্থিত দেবীর ৫১ পিঠের কিরীটেশ্বরী মন্দিরে হাজির হয়ে সেই মন্দিরের নানান মাহাত্ম্য কথা তিনি মন দিয়ে শোনেন। শুধু তাই নয় নিজে হাতে দাঁড়িয়ে সেখানে তিনি আরতী পর্যন্ত করেন। রাজ্যপালকে হাতের কাছে পেয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ তাদের নানান দাবি-দাওয়ার কথা তুলে ধরেন তার কাছে। সমস্ত কিছু মন দিয়ে শোনেন বলেই জানান মন্দিরের সেবায়েত দিলিপ ভট্টাচার্য। দীলিপবাবু বলেন,রাজ্যপাল মনোযোগ সহকারে মন্দিরের প্রাচীন ইতিহাস ও সম্প্রীতির কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং নানান বিষয় খতিয়ে জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন, কলকাতায় হিন্দু পুজোয় যোগ দিয়ে হুমকির পরে ক্ষমা চাইলেন সাকিব, ক্ষুব্ধ হয়ে টুইট তসলিমার
গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগদান করবেন রাজ্যপাল
এখানেই শেষ নয় তিনি সেবায়েতের মোবাইল নাম্বার পর্যন্ত সংগ্রহ করেন আগামী দিনে যে কোনও রকম সমস্যায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য। রাজ্যপালের এমন আচরণে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। সূত্র মারফত জানা যায়,এরপরে রাজ্যপাল মন্দির থেকে বেরিয়ে সটান যাবেন হাজার দুয়ারী প্যালেস ও ইমামবাড়া চত্বরে। সেখান থেকে ফিরে পুনরায় জেলার সদর শহর বহরমপুরে এসে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগদান করবেন। যদিও কি বিষয়ে তিনি সাংবাদিক বৈঠক করবেন সেই নিয়ে এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন, 'প্রতিমাসেই বাংলায় আসবেন শাহ-নাড্ডা', দিল্লি যাওয়ার পথে জানালেন দিলীপ ঘোষ
ফারাক্কাতে না পেলেও এবার পেলেন হেলিকপ্টার
প্রসঙ্গত,এর আগে মুর্শিদাবাদের ডোমকল এবং ফারাক্কাতে আসাকালীন তৃণমূলের সঙ্গে নানান জটিলতা তৈরি হয়েছিল রাজ্যপালের। সে ক্ষেত্রে এর আগে ফারাক্কা কলেজের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কিন্তু সেই সফরের জন্য সরকারের কাছে হেলিকপ্টারের আবেদন করেছিলেন তিনি। রাজ্য়পালের আবেদনে সাড়া দেয়নি সরকার। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়েছিল গাড়িতে। যা নিয়ে অশান্তি চরমে পৌঁছে নবান্নের সঙ্গে রাজভবনের।