সংক্ষিপ্ত
নকশালবাড়ির বিভিন্ন স্থানে হাতির তান্ডবে অতিষ্ট সাধারণ মানুষ। যা জেরে এলাকা ছেড়েও পালাচ্ছে বহু মানুষ।
হাতির উপদ্রব ক্রমেই বাড়ছে উত্তরবঙ্গে একাধিক জেলায়।সম্প্রতি গরু বাঁধতে গিয়ে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) নকশালবাড়ির(Nazalbari) মেরিভিউ চা বাগানে হাতির(elephant) হানায় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। যদিও তারপরেও বন দপ্তরের(Forest department) তরফে হাতির হানা ঠেকাতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের। সহজ কথায় বর্তমানে নকশালবাড়ির বিভিন্ন স্থানে হাতির তান্ডবে অতিষ্ট সাধারণ মানুষ। যা জেরে এলাকা ছেড়েও পালাচ্ছে বহু মানুষ।
সম্প্রতি নকশালবাড়ির রঘুজোতে হাতির আক্রমণের হাত থেকে বাঁচল গোটা পরিবার। গতকাল রাত ১টায় ৪০-৫০টি হাতির দল নকশালবাড়ি ও সংলগ্ন বর্তী খড়িবাড়ির বিভিন্ন এলাকায় তান্ডব শুরু করে বলে জানা যায়। হামলা চালায় রঘুজোতের দুলাল বর্মনের বাড়িতে। ঘরের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে বাসনপত্র এমনকি বাড়ির টিনের দেওয়াল, ছাঁদ ও বাথরুম ভেঙে চুরমার করে দেয় হাতির দল। সঙ্গে মজুদ করা খাবার ও ধানের খেতে বেলাগাম তান্ডব চালায় দামালের দল। আর তাতেই ভয়ে তটস্থ দুলাল বাবুর পরিবার।
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় ‘আক্রমণের’ নাট্য রূপান্তর, প্রতিবাদীদের পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৃণমূলের অন্দরেই
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দুলাল বাবুর পরিবারের সদস্য, সুনিতা বর্মন জানান, “৪০টি হাতির দল ঘরে হামলা করতেই আমরা প্রাণ হাতে করে দৌড় দিই বাড়ি থেকে। পরে বাড়ি ফিরে দেখি ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র ভেঙে শেষ করে দিয়েছে ওরা। ভেঙে ফেলেছে গোটা বাড়ি। ওরা ফিরে যেতে ভাঙা ঘরেই রাত কাটাই সকলে মিলে।” বর্তমানে ফির কীকরে গোটা পরিবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে তা ভেবেই কূল কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না ওরা। এমনকী এই বিষয়ে বনবিভাগের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও সহযোগিতা পাননি বলে স্পষ্ট অভিযোগ করছে বর্মন পরিবার।
আরও পড়ুন- বালি চোর, কয়লা চোরেরাই রাজ্য অশান্তি বাঁধাচ্ছে, অভিষেককে চাঁচাছোলা আক্রমণ বিপ্লবে
ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পেশায় রাজমিস্ত্রী দুলাল বর্মন বলেন, “আমাদের এখানে হাতির হামলা এখন রোজকারর ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিন রাতে আচমকাই আমাদের বাড়িতে হামলা করে হাতির দল। বাড়িতে যা খাদ্যশস্য ছিল সম খেয়ে ফেলেছে। বাড়ির সমস্ত পাঁচিল, বেড়া, টিনের চাল সব শেষ করে দিয়েছে। এখন আমরা কী খাব, কী পরব, কীভাবে বাঁচব সেটাই ভেবে পাচ্ছি না। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে জীবনধারণের জন্য যদি কিছু একটা ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় তাহলে আমরা খুবই উপকৃত হব। নাহলে গোটা পরিবার নিয়ে পথে বসা ছাড়া উপায় থাকবে না।”