সংক্ষিপ্ত

হাওড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে জলমগ্ন রয়েছে।প্রতিবাদে পথ অবরোধ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

জমা জলের সমস্যা হাওড়ায় বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন। এদিকে আগামী মাসেই হাওড়ায় রয়েছে পুরসভা নির্বাচন। তার আগে সাধারণ বারেবারেই অকাল বৃষ্টিতে জল যন্ত্রণায় নাজেহাল হচ্ছেন জেলার একটা বড় অংশের মানুষ। হাওড়া পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডে অন্তর্গত টিকিয়াপাড়া নোনা পাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জল জমে থাকার কারণে অসুবিধার সম্মুখিন হচ্ছেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের দাবি সমস্যার কথা একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। আর সেই ক্ষোভ থেকেই এদিন পথ অবরোধের সিদ্ধান্ত নেন তারা।

সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় তোড়জোড়। বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় একাধিক ছোট বড় রাস্তা। লেখা হয় পোস্টার। যা নিয়ে রাস্তায় নামেন স্থানীয়দের একটা বড় অংশ। তাদের স্পষ্ট, অভিযোগ পৌরসভাকে একাধিকবার জানানো সত্ত্বেও তাদের তরফে থেকে জল নামাতে কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। গত সপ্তাহে বৃষ্টির পর অবস্থা মারাত্মক খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে জল সামান্য নামলেও এখনও বহু জায়গাতেই জল যন্ত্রণায় ভুগছেন সাধারণ মানুষ। যার ফলে যাতায়াত করতে অসুবিধা সম্মুখীন হচ্ছেনতারা।

আরও পড়ুন - ভাঙন অব্যহত বিরোধী শিবিরে, বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেড় হাজার কর্মীর

এদিকে আচমকা পথ অবরোধের জেরে এদিন দীর্ঘক্ষণ যানজটের সৃষ্টি হয় একাধিক এলাকায়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান পুলিশের আধিকারিকরা। তারা এলাকার মানুষদের বুঝিয়ে রাস্তা মেরামতির আশ্বাস দিলে খানিক স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। অবরোধ ওঠে একাধিক এলাকাথেকে। এদিকে এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে সুভাষ নামে এক  স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, দীর্ঘ নয় মাস ধরে জল জমে থাকছে। আমরা চাইছি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক। বর্ষাকালে জল জমে তাও আমরা এতদিন মেনে নিয়েছি। কিন্তু বছরের অন্যান্য সময় এই পরিস্থিতি হচ্ছে কেন? প্রশাসনের তরফ থেকে পাম্প চালালে জল নেমে যাচ্ছে পাম্প বন্ধ করার পর আবার জল থইথই। আমরা চাইছি এই জলযন্ত্রণা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে।

আরও পড়ুন- ত্রিপুরা ইস্যুতে কথা বলতে নারাজ অমিত শাহ, নর্থ ব্লকের সামনে বিক্ষোভে সামিল তৃণমূল

রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় এক মহিলা জানান, তাদের বাড়িতে প্রায় সব সময় জল ঢুকে রয়েছে। রাস্তায় হাটা চলা করতে গেলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। নোংরা জলে হাঁটা চলার কারণে পরিবারের অনেকেরই চর্মরোগও দেখা দিচ্ছে। তার ছেলের পায়ে ঘা পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। জমা জলের কারণে মষার উপদ্রবও বেড়েছে। ডেঙ্গু ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছেন এলাকার সকলেই। এদিকে সঙ্কট মোকাবিলা প্রসঙ্গে হাওড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পাম্প চালানো হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। চেষ্টা চলছে জমা জল বের করারয। এমনকী প্রশাসনও সজাগ রয়েছে প্রতি মূহূর্তে