সংক্ষিপ্ত

নার্সের সরকারি চাকরি পেয়েছেন স্ত্রী। তাই ডান হাত কবজি থেকে কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। নার্সের চাকরি পাওয়ার পর যদিও তাঁকে ছেড়ে চলে যান এই আশঙ্কায় শেখ মহম্মদ বউএর হাত কেটে নিয়েছেন। এমনই নৃশংস ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানের কেতু গ্রামে। 

নার্সের সরকারি চাকরি পেয়েছেন স্ত্রী। তাই ডান হাত কবজি থেকে কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। নার্সের চাকরি পাওয়ার পর যদিও তাঁকে ছেড়ে চলে যান এই আশঙ্কায় শেখ মহম্মদ বউএর হাত কেটে নিয়েছেন। এমনই নৃশংস ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানের কেতু গ্রামে। বাইশ সালে দাঁড়িয়ে এমনও নৃশংস ঘটনা ঘটতে পারে, জানতে পেরে শিউরে উঠেছেন এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

অভিযোগ, বর্ধমানের কেতুগ্রামের কোজলসা-র বাসিন্দা শেখ মহম্মদ শনিবার রাতে তার স্ত্রী রেণু খাতুনের ডান হাত কবজি থেকে কেটে নেন। সম্প্রতি নার্সের চাকরি পেয়েছিলেন রেণু। অভিযোগ চাকরি পাওয়ার পরে স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে যেতে পারেন, এই আশঙ্কায় শেখ মহম্মদ বউএর হাত কেটে নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কেতুগ্রামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে রেণুর পরিবার।

আরও পড়ুন, সঙ্গীতশিল্পী কেকে মৃত্যু তদন্তে কি সিবিআই, কলকাতা হাইকোর্টে গৃহীত হল মামলা

জানা গিয়েছে, রেণু ছোট বেলা থেকেই মেধামী ছাত্রী ছিল।তার স্বপ্ন ছিল নার্স হওয়ার। সম্প্রতি তিনি নার্সের চাকরিও পান। অভিযোগ শেখ মহম্মদের কয়েকজন বন্ধু তাঁকে বোঝায়, চাকরি পেলে রেণুর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হতে পারে। অভিযোগ এরপরেই বন্ধুদের সঙ্গে মহম্মদ পরিকল্পনা করেন রেণুর হাত কেটে নেওয়ার। তাহলে আরও রেণু কাজ করতে পারবে না, চাকরিতে যোগ দিতে পারবে না, এমনই নৃশংস অপরাধের ছক কষে শেখ মহম্মদ। এই পরেই আছে সেই অভিশপ্ত সময়।

আরও পড়ুন, ২০ জনের বেশি সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ, হাঁসখালিকাণ্ডে দ্বিতীয় রিপোর্ট হাইকোর্টকে জমা দেবে সিবিআই

শনিবার রাতে তখন গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন রেণু। আর তখনই মুখে বালি চাপা দিয়ে ডান হাত কবজি থেকে কেটে ফেলে হয়। এরপর রেণুকে কাটোয়া মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেসময় মহম্মদ শেখ , রেণু ডান হাতের কাটা অংশটি লুকিয়ে রাখেন বলে অভিযোগ। তবে এই নৃশংস ঘটনার পর শেখ মহম্মদ ও তার পরিবারের সকলেই পালিয়েছেন। বাড়িতে তালা ঝোলানো। বর্তমানে রেণু ভর্তি দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।

আরও পড়ুন, ডুমুরের ফুল বিজেপির অধিকাংশ বুথ সভাপতি, নাড্ডা সফরের আগে চাপে সুকান্ত-শুভেন্দুরা

 তবে শেখ মহম্মদ কোথায় , এখনও তার টিকিটিও ধরা যায়নি। যোগাযোগ করা যায়নি তার পরিবারের সঙ্গেও। যদিও পুলিশ ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে , শেখ মহম্মদের তল্লাশি করছে। এহেন নৃশংস ঘটনায় ইতিমধ্য়েই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। রেণু কি আর তার ওই স্বপ্নের চাকরিতে জয়েন করতে পারবে, পুরোপুরি সুস্থ হতে পারবে, ডান হাতের কী পরণতি হবে, এসব প্রশ্নে ইতিমধ্যেই আলোচনা বাড়ছে।