সংক্ষিপ্ত

গতানুগতিক ছাত্রজীবনের একঘেয়েমি কাটাতে মনীষীদের রঙিন ছবি, মৎস্যকন্যা, শিক্ষামূলক উক্তিতে ভরে উঠেছে সারা স্কুলের ঝলমলে নজরকাড়া দেওয়াল।

স্কুল মানেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে বন্ধু আর বই, তারপর অবশ্যই আসেন শিক্ষক শিক্ষিকারা।  ক্লাসরুমগুলো কিন্তু কখনও কখনও একঘেয়ে, সাদামাটা হয়েই থেকে যায়। কিন্তু এই একঘেয়ে ক্লাসরুমগুলোকে একেবারে অভিনব রূপে ছাত্রীদের কাছে ফুটিয়ে তুলেছেন ইছাপুর মুখদা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা।

উত্তর ২৪ পরগণার লেলিননগরে অবস্থিত ইছাপুর মুখদা বালিকা বিদ্যালয়। এখানকার ছাত্রীদের কাছে পড়াশোনা ও বিদ্যালয়ের পরিবেশকে আকর্ষণীয় করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা। বিদ্যালয়ের দেওয়ালগুলিকে অভূতপূর্ব সাজে সাজিয়ে তুলেছেন তাঁরা। স্কুলের দেওয়ালগুলোতে সাধারণ রং দিয়ে একেবারে সাদামাটাভাবে রঙিন না করে, সেগুলোতে ঝকঝকে সুন্দর রঙের মাধ্যমে বিভিন্ন মনীষীদের ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁরা। 

প্রবাদ আছে যে, ‘দেওয়ালেরও কান আছে’। কিন্তু, ইছাপুরের এই স্কুলের দেওয়ালগুলোতে এখন প্রাণ আছে। পড়াশোনাকে জীবনের বোঝা বানিয়ে না তুলে বরং শিশুরা যাতে সেটাকে ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে গ্রহণ করে, সেই প্রচেষ্টা মাথায় নিয়েই এই উদ্যোগ শুরু করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। গতানুগতিক ছাত্রজীবনের একঘেয়েমি কাটাতে মনীষীদের রঙিন ছবি, মৎস্যকন্যা, শিক্ষামূলক উক্তিতে ভরে উঠেছে সারা স্কুলের ঝলমলে নজরকাড়া দেওয়াল। কেবল শিশুরাই নয়, তাঁদের অভিভাবকদের প্রতিও যথেষ্ট চিন্তাশীল স্কুল কর্তৃপক্ষ।



স্কুলের ছাত্রীদের কেবলমাত্র শিক্ষার উন্নতি নয়, মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে ইছাপুর মুখদা বালিকা বিদ্যালয়। শিশুদের আত্মপ্রকাশের উন্নতি ঘটাতে শুধু পড়াশোনা নয়, লেখাপড়ার ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সুন্দর হাতের কাজ করতে উৎসাহ দিয়ে চলেছেন শিক্ষিকারা। ছাত্রীদের সঙ্গে তাঁরা নিজেরাও তৈরি করে চলেছেন রঙিন ফুলের তোড়া। আগামী দিনে মুখদা স্কুলে অনুষ্ঠিত হবে বিজ্ঞান মেলা। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠা বসাক সেন জানালেন, বিজ্ঞান মেলায় ছাত্রীরা নিজে থেকেই অত্যন্ত উৎসাহী। নিজেদের ভাবনা দিয়ে বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নানা ধরনের প্রজেক্ট তৈরির কাজ করে চলেছে তারা। তাই, শহর থেকে অনেকটা দূরে থেকেও ইছাপুর মুখদা বালিকা বিদ্যালয় যে ছাত্রীদের জন্য এক স্বপ্নের রাজ্য, তা বলে দেবে এখানকার প্রাণোচ্ছল  পড়ুয়াদের প্রফুল্লতাই।

আরও পড়ুন-
Jharkhand School Viral Video : সরকারি শিক্ষার বেহাল অবস্থা চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল ১২ বছরের ছোট্ট সাংবাদিক
স্কুলের ফি দিতে না পারায় সকলের সামনে অপমান করেছিলেন শিক্ষক বলতে গিয়ে চোখে জল আমির খানের
উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলে চমক! রাজ্যে প্রথমবার রিভিউ করিয়ে মেধাতালিকায় স্থান ছাত্রের