সংক্ষিপ্ত
বাংলা সীমান্ত ব্যবহার করে কমপক্ষে ১৫ জন জঙ্গি পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে। গোটা দেশ জুড়ে এদের নাশকতা চালানোর ছক রয়েছে।
যত তদন্ত এগোচ্ছে, একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসছে। রবিবারই কলকাতা থেকে তিন বাংলাদেশী জেএমবি অর্থাৎ জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (JMB) ধরা পড়ে। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (STF) হাতে ধরা পড়ে তিন জেএমবি জঙ্গি। তাদের জেরা করেই বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসছে। জানা গিয়েছে বাংলা সীমান্ত ব্যবহার করে কমপক্ষে ১৫ জন জঙ্গি পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে।
গোটা দেশ জুড়ে এদের নাশকতা চালানোর ছক রয়েছে। এসটিএফ সূত্রে খবর তেমনই। এসটিএফের এক অফিসার জানিয়েছেন এই ১৫ জন জঙ্গির মধ্যে ১০ জন ইতিমধ্যে কাশ্মীর সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে এই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। এতদিন রাজ্যেই ঘাঁটি গেঁড়ে ছিল তারা। বাকি পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। কিন্তু বাকি দিজন এখন রাজ্যেই রয়েছে।
ধৃত জঙ্গিদের জেরা করে জানা গিয়েছে ১০ জেএমবি জঙ্গি ওডিশা, বিহার ও জম্মুতে ছড়িয়ে পড়েছে। যে দুজন জঙ্গি বাংলায় রয়ে গিয়েছে, তাদের নাম প্রকাশ করেছে এসটিএফ। তাদের নাম সেলিম মুনসী ও শেখ সাকিল। এই দুজনের সন্ধানে চিরুণি তল্লাশি চালাচ্ছে এসটিএফ। এই সাকিলই বাকি জঙ্গিদের ভুয়ো নথি তৈরি করে পরিচয়পত্র বানিয়ে দেয় বলে সূত্রের খবর।
এসটিএফ সূত্রে খবর, জেএমবি বড় পান্ডা তাসমিনের নির্দেশেই ভারতে এসেছিল ধৃত তিন জঙ্গি। শাকিল নামের এক যুবক তাদের ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করে দিয়েছিল। ধৃতদের আরেক সাগরেদ সেলিম মুন্সির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে এসটিএফের কর্তারা। ধৃত নাজিউর রহমান, রবিউল ইসলাম এবং শেখ সাবির ওরফে মিল্কি তিনজনকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়। তাদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।