এই গুণমানে ব্যর্থ হওয়া ওষুধের মধ্যে প্রেসারের ওষুধ, প্যারাসিটামল, স্নায়ু ও হৃদরোগের ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক, স্যালাইন, খিঁচুনি কমানোর ওষুধ, ভিটামিন সি, হজমের ওষুধ, পক্সের টিকা, ব্যথানাশক, লিভার ও স্ত্রীরোগের ওষুধ রয়েছে।

রাজ্যে ১৩৬টি ভেজাল ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধ। যেগুলো গুণগত মানের পরীক্ষায় ফেল করেছে। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গুণগত মানের পরীক্ষায় ৩৯৩টি ওষুধ ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৬টি ওষুধ বিক্রি করা যাবে না বলে জানিয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ।

গুণগত মানের পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়া ওষুধগুলির তালিকা রাজ্যের সমস্ত সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল ও ওষুধের দোকানে টাঙানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ওষুধগুলি ব্যবহারের অযোগ্য, 'নট ফর স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি ড্রাগস'। ওযুধের গুণমান পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, রাজ্যের ল্যাবে ২টি ওষুধ ব্যর্থ হলেও, কেন্দ্রীয় ল্যাবে ৬৪টি ওষুধ ব্যর্থ হয়েছে। এই ফলাফল দেখে রাজ্যের ল্যাবগুলির পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

রোগ হলে তা নিরাময় করতে যেমন প্রয়োজন হয় ওষুধের , তেমনই ওষুধের মধ্যে 'রোগ' লুকিয়ে রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে ল্যাবে ওষুধের গুণগত মান পরীক্ষা করা হয়। আর সেই পরীক্ষায় সম্প্রতি উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। সকলের মনে একটাই প্রশ্ন, ওষুধের গুণমান ঠিক নেই তবে রোগ সারাতে খাব কি? কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের দাবি, ওষুধের বিষয়ে কোন সন্দেহ থাকলে তাদের কাছে অভিযোগ জানানো যেতে পারে। এছাড়াও নিয়মিত পরীক্ষা চলে। তারই ভিত্তিতে সম্প্রতি তিন দফায় ৩৯৩টি ওষুধকে চিহ্নিত করা হয়েছে। 'ফেল করা ওষুধ'-এর তালিকা কিন্তু কম নয়। এই গুণমানে ব্যর্থ হওয়া ওষুধের মধ্যে প্রেসারের ওষুধ, প্যারাসিটামল, স্নায়ু ও হৃদরোগের ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক, স্যালাইন, খিঁচুনি কমানোর ওষুধ, ভিটামিন সি, হজমের ওষুধ, পক্সের টিকা, ব্যথানাশক, লিভার ও স্ত্রীরোগের ওষুধ রয়েছে।

রিপোর্ট পেশ হতেই জনমানসে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। ভেজাল ওষুধের খবরে জনমনে তৈরি হয়েছে সন্দেহ। কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড অভিযোগ জানানোর ও নিয়মিত পরীক্ষার ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্যালাইনের বিষক্রিয়ায় প্রসূতির মৃত্যু ও বর্ধমান মেডিক্যালে স্যালাইন দেওয়ার পর সাত প্রসূতির অসুস্থ হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছিল। যা নিয়ে পড়ছিল শোরগোল। এবার এই পরিস্থিতিতে ওষুধ কেনার আগে সতর্কতা অবলম্বন করা অবশ্যই জরুরি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।